তৌসিফ আহমেদ
প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৪, ০৩:০২ পিএম
প্রতীকী ছবি।
জীবনে এমন অনেক সময় আসে যখন কিছুই ভালো লাগে না। কোনো কিছু করার উৎসাহ পাওয়া যায় না। সামান্য কারণে উৎসাহ হারিয়ে ফেললে তা হয়তো দু-এক দিন থাকে এবং পরে তা সামলে উঠি। কিন্তু যখন খুব বেশি কষ্ট পেয়ে বা বিরক্ত হয়ে উৎসাহ হারিয়ে ফেলি তখন তা অনেক দিন থাকে। কোনো কিছু করার উৎসাহের অভাব হলে অথবা ভালো না লাগলে, আর সেটা অনেক দিন ধরে চলতে থাকলে, ধরে নিতে হবে মানসিক সমস্যা চলছে। যাকে ‘অ্যাভোলিশন’ বলে।
যদিও সাময়িকভাবে অনুপ্রেরণা হারানোর মতো ঘটনা মানসিক জগতে ঘটতেই পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদে এ রকম চললে জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। দেখা দেয় নানান মানসিক সমস্যা। যেমন- বিষণ্ণতা, বাইপোলার ডিজঅর্ডার এবং স্কিজোফ্রেনিয়া। সাময়িকভাবে অনুৎসাহ বোধ করা আর অ্যাভোলিশনের সঙ্গে প্রধান পার্থক্য হলো- এটা মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা।
মার্কিন মনোবিজ্ঞানী ওয়েন্ডি ও’কনর বলেন, ‘অনুপ্রেরণার অভাব বোধ করা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। তবে জীবনে, সম্পর্কে, ভালো থাকাতে যদি এটা হস্তক্ষেপ করা শুরু করে তাহলে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।’ অ্যাভোলিশনের লক্ষণ একেক জনের একেক রকম হয়। যেমন- কথা বলতে ইচ্ছা না করা, মেসেজ বা ইমেইলের জবাব দিতে ইচ্ছা না হওয়া, সারাদিন কোনো কাজ না করে বসে থাকা অথবা নিজের যত্ন না নেওয়া ও পরিচ্ছন্ন না রাখা ইত্যাদি।
‘ভালো না লাগা’ অনুভূতি দূর করবেন যেভাবে
যখন কিছুই ভালো লাগে না, ভেতর বা বাইরে থেকে ছোট কিংবা বড়- কোনো অনুপ্রেরণাই যখন আসে না, আর সেটা জীবনযাপনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলা শুরু করলে অবশ্যই বিষয়টাকে গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে।
ছোট বিরতি নেওয়া: কোনো উদ্দেশ্য পূরণের ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণার অভাব হলে, ছোট বিরতি নেওয়ার পরামর্শ দেন ও’কনর। এর ফলে নতুন করে ভাবতেও সাহায্য করে। আর অনুপ্রেরণায় অনুরণন ঘটে। তবে এই বিরতি বেশি সময় ধরে নেওয়া যাবে না। তাহলে উল্টো ফল হবে।
কাছের মানুষদের সাহায্য নেওয়া: কাছের মানুষদের সাহায্য নেওয়া আরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এসব ক্ষেত্রে। স্বাস্থ্যকর জীবনের রুটিনে ফিরে যাওয়ার পাশাপাশি সেটাতে অভ্যস্ত হওয়াতে সাহায্য করবে তারা। হতে পারে সে বেস্ট ফ্রেন্ড কিংবা জীবনসঙ্গী। এ ক্ষেত্রে সহানুভূতিশীল, সাহায্যকারী ও সহায়ক মানুষদের সঙ্গে থাকার পরামর্শ দেন ও’কনর।
মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়া: ভালো না লাগার অনুভূতি যখন বেশিমাত্রায় হতে থাকে সে ক্ষেত্রে থেরাপি নেওয়া বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। অভিজ্ঞ চিকিৎসক রোগের কারণ নির্ণয় করে সঠিক ব্যবস্থা নিতে পারবেন।