মো. ওমর ফারুক খোন্দকার, মালদ্বীপ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৪, ১০:০৮ এএম
‘গণহত্যা দিবস’ পালন করেছে মালদ্বীপের বাংলাদেশ দূতাবাস।
নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংস ও কাপুরুষোচিত হামলার ঘটনাকে স্মরণ করে যথাযথ সম্মান ও গাম্ভীর্যের সঙ্গে ‘গণহত্যা দিবস’ পালন করেছে মালদ্বীপের বাংলাদেশ দূতাবাস।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠ এরপর মুক্তিযুদ্ধে নিহত সব শহীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সোমবার (২৫ মার্চ) জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে পাঠানো রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে মিশনের শ্রম কাউন্সেলর মো. সোহেল পারভেজ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিজ শিরিন ফারজানা।
এছাড়াও উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর গণহত্যা ও নৃশংসতার ওপর একটি প্রামাণ্য তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
দূতাবাস অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে, স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও গণহত্যায় নিহত শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাইকমিশনার এস এম আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, ইয়াহিয়া ও ভুট্টোর নীল নকশায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে বাংলাদেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তিনি উল্লেখ করেন, একদিন এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে।
এছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বাধীনতার চেতনা ধারণ করে গণহত্যার বিষয়ে স্বীকৃতির আদায়ের জন্য প্রচারণা চালানোর জন্য অনুরোধ জানান। এতে ভবিষ্যত প্রজন্ম গণহত্যা ও স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে মিশন কর্মকর্তার পাশাপাশি মালদ্বীপে বসবাসরত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন।