আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০২:৫৮ পিএম
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৬ জন নিহত। ছবি: সংগৃহীত
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হলেও এ অঞ্চলে দখলদার বাহিনী ইসরায়েল তাদের হামলা বন্ধ করেনি। বরং যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পাস হওয়ার কয়েকদিন পার হওয়ার পরও সেখানে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা অব্যাহত রেখেছে। এদিকে এ হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় বিপুল সংখ্যক নিহত এবং ১০২ জন আহতের খবর জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণায় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হতাহতদের অনেকে এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন। উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতেও পারছেন না।’
১৭৪ দিন ধরে চলা ইসরায়েলি বর্বর আগ্রাসন, তান্ডব ও গণহত্যায় গাজা উপত্যকা মূলত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেখানকার প্রায় ২০ লাখ বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের হামলায় গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে বাস করছেন।
এদিকে ইসরায়েলি তান্ডবে এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ কোনও ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছেন এবং প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করতে পেরেছে।
এদিকে গত সোমবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ পবিত্র রমজান মাসে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে একটি প্রস্তাব পাস করেছে। হামাস এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেও, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
অন্যদিকে রাফাহতে হামলার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশগুলো সতর্কতা দিয়ে আসলেও তা উপেক্ষা করে ইসরায়েল হামলার প্রস্ততি নেয়া শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী চীন থেকে ৪০ হাজার তাঁবু কিনতেও আদেশ দিয়েছেন।
সূত্র: আল জাজিরা, টি আরটি ওয়ার্ল্ড