আজ ঐতিহাসিক ‘ময়না যুদ্ধ’ দিবস

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২৪, ০৪:৪৩ পিএম

ময়না স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ। ছবি: নাটোর প্রতিনিধি

ময়না স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ। ছবি: নাটোর প্রতিনিধি

আজ ৩০ মার্চ। নাটোরের লালপুরে ঐতিহাসিক ‘ময়না যুদ্ধ’ দিবস। ১৯৭১ সালে এ দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে সাঁওতাল, তিরন্দাজসহ প্রায় ৪০ জন শহীদ হন। তবে স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও যুদ্ধে শহীদ ব্যক্তিরা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাননি।

দিবসটি উপলক্ষে আজ শনিবার (৩০ মার্চ) সকালে ময়না স্মৃতিস্তম্ভে জাতীয় পতাকা, শোক পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু, লালপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ওয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমানসহ অনেকে।

জানা যায়, ১৯৭১ সালের ৩০ মার্চ পাক হানাদার বাহিনী তিনটি জিপ ও ছয়টি ট্রাক নিয়ে পাবনার নগরবাড়ি থেকে নাটোর হয়ে রাজশাহীর উদ্দেশে রওনা দেয়। পথে পাবনার দাশুড়িয়া ও রাজাপুরে মুক্তি পাগল জনতার বাধার মুখে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এসময় পাক বাহিনীর একটি দল কাচা রাস্তা দিয়ে লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া এলাকার ময়না গ্রামে প্রবেশ করে বেপরোয়া গুলি চালিয়ে সাঁওতাল, তিরন্দাজসহ প্রায় ৪০ জনকে হত্যা করা হয়। পরে মুক্তি পাগল জনতা,ইপিআর ও আনসার বাহিনীর হাতে ২৫ নম্বর পাঞ্জাব রেজিমেন্ট ধ্বংস করে।

১৯৭১সালের ৩০ মার্চ পাক বাহিনীর ২৫ রেজিমেন্টের প্রধান মেজর জেনারেল আসলাম হোসেন খান ওরফে রাজা খান জনতার হাতে ধরা পড়েন। পরে ৩১ মার্চ লালপুর উপজেলার শ্রীসুন্দরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রধান মেজর রাজা খানসহ ৯ পাকসেনা নিহত হয়। 

পরে শহীদদের স্মরণে ময়না গ্রামে ১৯৯৮ সালের ৩০মার্চ একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ মমতাজ উদ্দিন এ শহীদ স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন করেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh