সেনা সদস্য হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

শেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৪ পিএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

শেরপুরের শ্রীবরদীতে ২০০৯ সালে এক সেনা সদস্য বটন কান্তি বড়ুয়ার হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ ১৫ বছর পর, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. বাবুল মিয়া (৪০) অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

আজ শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-১।

গতকাল শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাত সড়ে আটায় ঢাকার উত্তরা-পূর্ব থানার পলওয়েল সুপার মার্কেটের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা জায়, মো. বাবুল মিয়া শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার খৈলকুড়া গ্রামের আলী হোসেন ওরফে হোসেন আলীর ছেলে।  তিনি চট্টগ্রামের কোতয়ালী থানার আনোয়ারা এলাকার বাসিন্দা সেনা সদস্য বটন কান্তি বড়ুয়ার সাথে থাকার মাটিকাটা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় সবজির ব্যবসায়িক সম্পর্কের মাধ্যমে পরিচিত হন। বটন কান্তির স্ত্রীর ছেলে সন্তান না হওয়ার কথা জানতে পেরে বাবুল তাকে এক কবিরাজের কথা জানান। পরবর্তীতে, বাবুল মিয়া বটন কান্তিকে শেরপুরের শ্রীবরদী থানার ষাটকাকড়া গ্রামের মো. আকিমদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমানের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে ঔষধের টাকাকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত বিবাদের এক পর্যায়ে বটন কান্তি বড়ুয়াকে হত্যা করে ঘরের মেঝেতে পুতে রেখে উপরে সিমেন্ট দিয়ে ঠালাই করে দেন।

ঘটনার চারদিন পর হাবিবুর কবিরাজের ঘর থেকে বটন কান্তি বড়ুয়ার লাশ উদ্ধার করে র‌্যাব। এ ঘটনায় তার পরিবারের সদস্য ছোটন বড়ুয়ার দায়েরকৃত মামলায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল, শেরপুর আদালত কর্তৃক গত ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন বাবুল মিয়া। মামলার পর ১৫ বছর যাবত বাবুল মিয়া মো. মোস্তফা কামাল ছদ্মনাম ধারণ করে জাতীয় পরিচয়পত্র পরিবর্তন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সবজি বিক্রি পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh