ময়মনসিংহে সড়কে ঝরল ৮ প্রাণ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৬ পিএম

সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি। ছবি: ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি। ছবি: ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ ৮ জন নিহত হয়েছেন। 

আজ মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে সদর, ত্রিশাল ও তারাকান্দা উপজেলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

ঈদের ছুটিতে মাহিন্দ্র যোগে বাড়ি ফিরছিলেন একই পরিবারের চারজন। দুপুরে সদর উপজেলার ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ল্যাংড়াবাজার এলাকায় টাঙ্গাইলগামী প্রান্তিক সুপার বাস ধাক্কা দেয় মাহেন্দ্রকে। এতে ঘটনাস্থলেই দুই বছরের শিশু মাহিত মারা যান। আহত হন তার বাবা লুৎফর রহমান (৩০) মা শাহনাজ পারভীন (২৫) ভাই মুজাহিদ (৬)। তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে লুৎফর রহমান এবং শাহনাজ পারভীন মারা যান। চিকিৎসাধীন রয়েছেন মুজাহিদ।

নিহতরা শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার দিঘীরপাড় এলাকার বাসিন্দা। স্বামী-স্ত্রী দুইজন ভালুকার মাস্টারবাড়ি এলাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। ঈদের ছুটিতে তারা বাড়ি ফিরছিলেন।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, মহাসড়কে যানজটের কারণে নিহতরা মাহেন্দ্র যোগে বাইপাস হয়ে শেরপুর যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এ ঘটনায় বাস চালক পালিয়েছে। তাদের ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। লাশ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন জানান, দুপুরে ত্রিশালে বালিপাড়া রোডে বাসের ধাক্কায় দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। একই উপজেলার পৌর এলাকার দরিরামপুর এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে একটি পিক-আপ ইউটার্ণ নেওয়ার সময় ময়মনসিংহগামী বাসের ধাক্কায় পিক-আপের দুই যাত্রী নিহত হন। এ নিয়ে দুর্ঘটনায় চারজন মারা গেছেন। 

নিহতরা হলেন, নাসিমা আক্তার (৩৫), জিহাদ মিয়া (২৪)। তারা ত্রিশাল উপজেলার কাজিরকান্দা গ্রামের বাসিন্দা। আপেল মিয়া (২৫) সে নান্দাইল উপজেলার বাসিন্দা এবং মারুফ হোসেন (১৮) ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তারা দুইজন অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। 

এছাড়াও তারাকান্দা উপজেলার ধোবাউড়া সড়কে বাস চাপায় একজন মারা যান। তবে তার পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh