প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫২ পিএম
বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
যারা ব্যাংক লুটপাট করেছে, একীভূত তাদের জন্য আরেকটা সুযোগ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আমির খসরু বলেন, ‘সরকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ব্যাংক মার্জার (একীভূত) করার। মার্জার তো কোনো সরকারের সিদ্ধান্ত হতে পারে না। এটা বাজারের সিদ্ধান্ত। এটা করতে শেয়ার হোল্ডারদের মতামত প্রয়োজন হয়। কিন্তু কী দেখা যাচ্ছে? শেয়ার হোল্ডারদের কোনো খবর নেই। তারা (সরকার) সিদ্ধান্ত দিচ্ছে মার্জার করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যারা ব্যাংক লুটপাট করে খেয়ে ফেলেছে, তাদের জন্যে এই মার্জার আরেকটা সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। তাদেরকে রক্ষা করার জন্য… যারা লুটপাট করে বাংলাদেশের সম্পদ নিয়ে গেছে, যারা ব্যাংকের আমানতের টাকা লুটপাট করেছে, তাদেরকে আরও সুবিধা দেওয়ার জন্য জোর করে এই একত্রীভূত করার প্রক্রিয়া সরকার নিয়েছে।’
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে সরকারের আরেকটা ‘ভোটচুরির ভাঁওতাবাজি’ বলে মন্তব্য করে আমীর খসরু বলেন, ওরা (সরকার) উপজেলা নির্বাচন দিয়েছে। যে দেশে ভোট নাই, ভোটে অংশগ্রহণের সুযোগ নাই, যেখানে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নাই, পার্টিসিপেশন নাই, সেখানে আবার কীসের ভোট? এই নির্বাচন, এটা আরেকটা দেশের মানুষকে একটা ধাপ্পাবাজির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এটা ভোটের নামে ভাঁওতাবাজি। একটা ভোটচুরি প্রকল্পের মাধ্যমে সমস্ত জাতিকে আজকে তারা (সরকার) জিম্মি করে রেখেছে।
সরকারের সব ‘অপকর্মের’ বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর ‘ঐক্য অটুট’ থাকার কথা পুনর্ব্যক্ত করে আমির খসরু বলেন, ‘সুখবর হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ আজকে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। যারা বিরোধী দলে আছি আমাদের ঐক্য অটুট আছে, বিএনপির ঐক্য অটুট আছে। এই ঐক্য ভাঙতে এমন নেই যে কিছু করেনি। টাকা-পয়সা, ভয়ভীতি, জেল-জুলুম, নিপীড়ন-নির্যাতন সব কিছু দিয়ে চেষ্টা করা হয়েছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা ধানক্ষেতে ঘুমিয়েছে, বেড়িবাঁধে ঘুমিয়েছে কিন্তু আপস করেনি। বিরোধী দলের নেতারা কেউ আপস করেনি। আমরা ৩১ দফা ঐক্যবদ্ধভাবে দিয়েছি। এটা চলমান আন্দোলনের দফা। অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের সাম্য-মানবিক মর্যাদা, ন্যায়বিচার ইত্যাদি বিষয়ে এক হয়েছি। আমাদের আন্দোলন চলমান আছে।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির উদ্যোগে ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র প্রকাশের দিনটি ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে এ আলোচনা সভা হয়। সভায় প্রজাতন্ত্র দিবসের দাবি উপস্থাপন করেন জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।