গুলশানে বারের সামনে তরুণীদের হাতাহাতি, কী ঘটেছিল জানালেন ডিবি হারুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৩ পিএম

গুলশানে বারের সামনে তরুণীদের হাতাহাতির দৃশ্য ও ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ছবি: সংগৃহীত

গুলশানে বারের সামনে তরুণীদের হাতাহাতির দৃশ্য ও ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ছবি: সংগৃহীত

গত ১৪ এপ্রিল রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন সাদা পোশাক পরা নারী ও লাল শাড়ি পরা নারীর মধ্যে হাতাহাতি হচ্ছে। এসময় চিৎকার-চেঁচামেচিও করছিলেন তারা। ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন পুরুষ তাদের থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।

এ ঘটনায় মারধরের শিকার এক নারী থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ তিন তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে। 

সেদিন রাতে আসলে কী ঘটেছিল সে বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানিয়েছেন ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সম্প্রতি গুলশান-২ নম্বরের ক্যাফে সেলেব্রিটা বারের সামনে কয়েকজন তরুণীর মধ্যে হাতাহাতির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মামলা করেন। পরে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্ত তিন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

তিনি বলেন, ওই নারীরা সেদিন রাতে বারে মদপান করতে গিয়েছিলেন। তাদের কারো লাইসেন্স ছিল না। এরপরও বারের লোকজন তাদেরকে মদ দেয়। বারের মালিকের উচিৎ ছিল তাদের কাছে লাইসেন্স আছে কিনা দেখা। আবার অতিরিক্ত মুনাফার আশায় তারা এত পরিমাণ মদ খাওয়ালেন যে সবাই মাতাল হলেন, বেসামাল হলেন। তাদের উচিৎ ছিল নারীদের নিয়ন্ত্রণ করা। 

ডিবিপ্রধান বলেন, বার থেকে বের হয়ে ওই নারীরা পাবলিকলি মারামারি করলেন। গুলশান সোসাইটির মানুষ দেখলেন, ভিডিও করে ভাইরাল করলেন। এতে আমাদের সমাজের যারা সাধারণ মানুষ তারা এই ভিডিও দেখে কী মনে করবেন। নগর সভ্যতায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে মারামারি করবে, মাতলামি করবে, অসভ্য আচরণ করবে অভিভাবকরা তা মেনে নেবে না। 

অভিভাবকদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, এই নারীরা কারো না কারো ঘরের সন্তান। আপনার মেয়েরা শেষরাতে কোথায় যায়, কোথায় গিয়ে কী করছে খোঁজ রাখা উচিৎ। আজকে এসব নারী বারে গিয়ে মদ খেয়ে মাতাল হয়ে মারামারি করেছে, কাপড় খোলার কাজ করেছে। এটা অন্য কারো ক্ষেত্রে ঘটতে পারে। 

ডিবিপ্রধান আরও বলেন, যে মেয়েটা মার খেয়েছে তিনিও মাতাল ছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাকি সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা ঘটলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়ে হারুন বলেন, লাইসেন্স না থাকার পরও যে বার মদ বিক্রি করেছে এবং ওই নারীদের নিয়ন্ত্রণ করেনি তাদের বিরুদ্ধেও আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh