চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপপ্রবাহে অচল জনজীবন

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩২ পিএম

তীব্র তাপপ্রবাহে অচল হয়ে পড়েছে জনজীবন। ছবি: চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

তীব্র তাপপ্রবাহে অচল হয়ে পড়েছে জনজীবন। ছবি: চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপপ্রবাহে অচল হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঘরের জানালায় পর্দা দিয়ে গরম হাওয়া ঠেকানো যাচ্ছে না। কর্মহীন মানুষের জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৮ শতাংশ। এদিন দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়া, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৮ শতাংশ এবং সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৮ শতাংশ। গত চার দিন চুয়াডাঙ্গা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার আওতায় রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গায় জেলা প্রশাসক ড.কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, অতি তীব্র, তীব্র এবং মাঝারি তাপপ্রবাহের কারণে দিন মজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাদের খাদ্য সহায়তা দেয়ার জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ জন্য রবিবার (২১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে। সেখানেই এ ব্যাপারে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

এদিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়লগাছী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন জানান, একই উপজেলার ঠাকুরপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে ও ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী জাকির হোসেন (৩৫) শনিবার সকালে নিজের জমিতে কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। 

‘হিটস্ট্রকে’ জাকির হোসেন মারা গেছে, এমন খবরের বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন, স্বাাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা বলতে পারতেন কিভাবে তিনি মারা গেছেন। পথিমধ্যে মারা গেলে তার মরদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়, এ কারণে ‘হিটস্ট্রকে’ মারা গেছে কি না এটা বলা যাচ্ছে না। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh