ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৪, ০২:৫৬ পিএম
ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় প্রস্তুতি সভা। ছবি: ভোলা প্রতিনিধি
বঙ্গোপসাগরে অবস্থান নেওয়া লঘুচাপটি গভির নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালে রূপান্তরিত হয়েছে। যার প্রভাবে ভোলায় বিকেল থেকে থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিসহ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া বিরাজ করছে। ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে নিম্নাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ।
ঝড় যেকোনো সময় বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে এই সর্তকতায় ভোলায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় ৩ ধাপে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ভোলার জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হলরুমে শনিবার (২৫ মে) রাত ৮টায় অনুষ্ঠিত সভায় বলা হয়েছে, জেলার সাতটি উপজেলায় ৮৬৯ টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১২টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল মোকাবিলায় জেলা শহরসহ সাতটি উপজেলায় আটটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের কাছে নগদ ১১ লাখ ৩৩ হাজার ৫ শত টাকা, ২২২ মেট্রিকটন চাল এবং শিশু খাদ্য, শুকনো খাবার ও গোখাদ্যর জন্য পর্যাপ্ত মজুদ রাখা হয়েছে। চিকিৎসা সেবার জন্য ৯২টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে দুর্যোগপূর্ণ ও পরবর্তী মানুষের সেবা দিতে ১৩ হাজার ৮৬০ সিপিপি সদস্য ও দুই হাজার জন রেড ক্রিসেন্ট সদস্য প্রস্তুত রয়েছে। জেলার বিচ্ছিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনার প্রস্তুতি নিয়েছে কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশ সদস্যরা।
এছাড়া জেলার অভ্যন্তরীণ সব রুটের ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রশাসনের সকল দপ্তরকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী, ঘূর্ণিঝড় কালীন এবং ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে রাখার জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।