এভারেস্টের পর লোৎসে জয় বাবর আলীর

ডেস্ক রিপোট

প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৪, ০৫:৪৪ পিএম

বাবর আলী। ছবি: সংগৃহীত

বাবর আলী। ছবি: সংগৃহীত

৮ হাজার মিটার উচ্চতা, যাকে বলা হয় ডেথ জোন। স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে তিন গুণ কম অক্সিজেন। সেখানে এক দিন অবস্থান করাও অত্যন্ত ঝুঁকির। সেই ক্যাম্প ফোরে ৭২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অবস্থান করে অবশেষে এসেছে সাফল্য। একই অভিযানে মাত্র ২ দিনের ব্যবধানে এভারেস্টসহ ৮ হাজার মিটারের বেশি উচ্চতার লোৎসে পর্বতে লাল সবুজের পতাকা উড়িয়ে বাংলাদেশের পর্বতারোহণ ইতিহাসে রচিত হয়েছে নতুন এক অধ্যায়। 

এই দুঃসাহসী কাজটি যিনি করেছেন, তিনি বাবর আলী। পেশায় চিকিৎসক বাবর আলীর হাত ধরেই এলো মাত্র ৩৬ ঘণ্টার ব্যবধানে প্রথমে এভারেস্ট : (৮৮৪৮ মি.) ও পরে লোৎসে : (৮৫১৬ মি.) পর্বত সামিটের সফলতা। পর্বতারোহণের ভাষায় যাকে বলা হয় ‘ডাবল হেডার’। একই সঙ্গে এটি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে পৃথিবীর ৪র্থ সর্বোচ্চ পর্বত লোৎসে সামিটের সফলতাও। ২১ মে স্থানীয় সময় ভোর ৫:৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ভোর ৬:০৫ মিনিট) তিনি লোৎসে পর্বতের চূড়া স্পর্শ করেন।

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণকারী চিকিৎসক বাবর আলী ১১ বছর পর ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে ১৯ মে এভারেস্ট জয় করার পর একই অভিযানে গিয়ে ২১ মে বাংলাদেশের হয়ে প্রথমবারের মতো লোৎসে সামিট করলেন। আর এই অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্য তাকে ডেথ জোন হিসেবে পরিচিত, ক্যাম্প ফোরে ৭২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অবস্থান করতে হয়েছে। যা এক কথায় অত্যন্ত বিপজ্জনক। ওই উচ্চতায় এক দিন বেশি থাকাও ঝুঁকিপূর্ণ। অতিরিক্ত খরচ এবং অক্সিজেনের ঘাটতির আশঙ্কা তো রয়েই যায়। কিন্তু এতসব ঝুঁকির মধ্যেও ক্লান্ত অবস্থায় আরেকটি অভিযানে অংশ নেওয়ার চাইতে তিনি খেয়ে, ঘুমিয়ে নিজেকে রিফুয়েল করার চেষ্টা করেছেন, যাতে তার লোৎসে যাত্রা তুলনামূলক নিরাপদ হয়। অবশেষে তিনি সফলও  হয়েছেন; প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ছুঁয়েছেন পৃথিবীর চতুর্থ শীর্ষ চূড়া লোৎসে।

বাবর আলী যে কেবল ট্রেকিং ভালোবাসেন তা-ই নয়। তার নেশাই ভ্রমণ। ২০১৯ সালে তিনি হেঁটে ৬৪ দিনে ভ্রমণ করেছেন দেশের ৬৪ জেলা। আর এই সময়ে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর জন্য গণসচেতনতা তৈরি করে গেছেন দেশের পথে-প্রান্তরে। সাইকেল চালানো, কায়াকিং, হাফ ম্যারাথন, ফটোগ্রাফি, স্কুবা ডাইভিং ইত্যাদিও চলেছে সমানতালে। সাইকেলে ক্রস কান্ট্রি রাইডও তিনবার সম্পন্ন করেছেন অভিযান পিয়াসু বাবর আলী। সঙ্গে অগণিত তরুণের হৃদয়ে বুনে দিয়েছেন সেই স্বপ্ন, চাইলে অসম্ভব বলে কিছু নেই।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh