রাঙ্গামাটিতে ধর্ষণের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

রাঙ্গামাটিতে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসাছাত্রীকে  ধর্ষণের দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ১১টায় রাঙ্গামাটির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের  বিচারক এ ই এম ইসমাইল হোসেন এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. মোজাম্মেল হক (৪০) চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার মনেয়াবাদ গ্রামের মৃত আতাউল হমের ছেলে। তবে তিনি রাঙ্গামাটি জেলা শহরের রিজার্ভ বাজার পুরান বস্তি এলাকায় ভাড়ায় বাসায় থাকতেন।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২১ মার্চ দুপুরে আসামি মো. মোজাম্মেল হকের ঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আসামি ভিকটিমকে পেঁয়াজ কেটে দেওয়ার জন্য তার ঘরে ডেকে নেয়। পরে আসামি ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। ভিকটিম চিৎকার করলে তার মুখে কাপড়গুজে দিয়ে মাটিতে ফেলে ধর্ষণ করেন। পরে ভিকটিমের মা ভিকটিমকে না দেখতে পেয়ে খুঁজতে খুঁজতে আসামির ঘরে এসে আসামিকে দরজা খুলতে বলেন।

পরে আসামি কোনো সাড়া না দিলে আশেপাশে প্রতিবেশীরা এসে আসামির ঘরে দরজা লাথি মেরে খুলে দেখেন আসামি ভিকটিমকে ধর্ষণ করছেন। পরে ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামিকে আটক করে রাঙ্গামাটি কোতোয়ালি থানার পুলিশ সোপর্দ করা হয় এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৯ (১) ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ মামলায় আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রায়ের আদেশে আদালত যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ছাড়াও শিশুটির পরিবারকে ৯০ দিনের মধ্যে ১ লাখ ক্ষতিপূরণ দিতে আদেশ দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে আসামির স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নিলামের মাধ্যমে টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা নিতে জেলা কালেক্টরকে (জেলা প্রশাসক) দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম অভি বলেন, আদালতে রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হয়েছি। এই রায়ের মাধ্যমে সমাজে অপরাধ কমে আসবে বলে আমি মনে করি।