নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৪, ০৪:২৯ পিএম
বেনজীর আহমেদ। ফাইল ছবি
অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে অভিযুক্ত সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ বিষয়ে খুব শিগগিরই তাকে নোটিশ পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ মে) বিষয়টি জানিয়েছে সংস্থাটির বিশ্বস্ত একটি সূত্র।
এর আগে সোমবার দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছিলেন, বেনজীর আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হবে কিনা তা তদন্ত কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।
দুদকের এ আইনজীবী বলেন, প্রয়োজন মনে করলে আদালতে বেনজীর আহমেদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞাও চাইবেন তদন্ত কর্মকর্তা। তদন্তে যদি আরও অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায় তাহলে সেগুলো জব্দে আদালতে আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বেনজীর আহমেদের সম্পত্তির ৮৩টি দলিল জব্দের আদেশ দেন আদালত। সঙ্গে ৩৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়। দুদিন না যেতেই রবিবার (২৬ মে) বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের ১১৯টি স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ আসে আদালত থেকে। এছাড়া রাজধানীর গুলশানের বিলাসবহুল চারটি ফ্ল্যাট, শতভাগ এবং আংশিক মালিকাধীন ২৩টি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়। এরমধ্যেই এসব সম্পত্তি জব্দের প্রক্রিয়া শুরু করেছে দুদক।
সম্প্রতি দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে দাবি করা হয়, বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এর প্রেক্ষিতে গত ২২ এপ্রিল বেনজীর, তার স্ত্রী জিসান মির্জা, দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাশিন রাইসা বিনতে বেনজীরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ অনুসন্ধান দল অভিযোগটি অনুসন্ধান করছে। দলের অন্য দুই সদস্য হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক নিয়ামুল আহসান গাজী ও জয়নাল আবেদীন।
বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাব এবং র্যাবের সাবেক ও বর্তমান যে সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তাদের মধ্যে বেনজীর আহমেদের নাম আছে। তখন তিনি আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন।