অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৪, ১১:৪৬ পিএম
এমপি আনারের খণ্ডিত মাংস উদ্ধার নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেন ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ছবি : সংগৃহীত
কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনের যে ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে ৪ কেজি ‘টুকরো মাংস’ উদ্ধার করা হয়েছে সেটি আসলে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের কি না তা ফরেনসিক টেস্ট ছাড়া বলা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দাপ্রধান মো. হারুন অর রশীদ।
আজ মঙ্গলবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।
এর আগে, কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জীবা আবাসনের বিইউ ৫৬ ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় খণ্ডিত মাংস।
ডিবিপ্রধান বলেন, ডিবির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেপটিক ট্যাংক ভাঙা হয়। কলকাতার সিআইডিকে আমাদের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল সেপটিক ট্যাংক ভেঙে তল্লাশি চালানোর জন্য। তবে ফরেনসিক টেস্ট ছাড়া এমপির মরদেহ এটা তা বলা যাবে না।
পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি মাংসের খণ্ডিত অংশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, ফরেনসিক পরীক্ষার পর এগুলো আনারের মরদেহের অংশ কিনা সে বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
সিআইডি আরও জানায়, মাংসের অংশগুলো কসাই জিহাদ ওয়াশরুমের কমোডে ফেলে দিয়েছিল বলে আগেই স্বীকার করেছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আবাসনের সুয়ারেজ সিস্টেমের কর্মী সিদ্ধেশ্বর মন্ডল সংবাদমাধ্যমকে জানান, এখন পর্যন্ত ওই সেফটিক ট্যাংক থেকে প্রায় ৪ কেজি ওজনের মাংস উদ্ধার করেছে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি। মাংসের টুকরোগুলো অনেকটা পাকোড়ার মতো দেখতে।
গত ২৬ মে ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল কলকাতায় যায়। পরদিন ২৭ মে সকালে হত্যার ঘটনা তদন্তে কসাই জিহাদকে সঙ্গে নিয়ে সঞ্জীবনী গার্ডেনের আলোচিত সেই ফ্ল্যাটে যায় ডিবির ওই দল। সেখানে তল্লাশি শেষে হারুন অর রশীদ জানান, স্বল্প সময়ের মধ্যে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের লাশের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হবে।
এখন পর্যন্ত সংসদ সদস্য আনার হত্যার ঘটনায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন- আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান ও ফয়সাল আলী ওরফে সাজি।