নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪, ০২:৫৪ পিএম
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সিএনজি স্টেশনগুলো ঈদের ৭ দিন আগে থেকে এবং ৫ দিন পর পর্যন্ত সারাদিন খোলা থাকবে। এ সময় নো হেলমেট, নো ফুয়েল কার্যক্রম চলবে। মন্ত্রী এমপির লোক বলেও যেন কেউ পার না পায়।
রাজধানীর বিআরটিএর সদর কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ঈদুল আজহা উপলক্ষে সড়কপথে যাত্রীসাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করার লক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় এ কথা বলেন মন্ত্রী।
সেতুমন্ত্রী বলেন, রোজার ঈদের আগে তেমন কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি, তবে ঈদের পর অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঈদ পরবর্তী নজরদারি কমানোর কারণে সড়কে দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। হেলপার যেন ড্রাইভার না হয় এই খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে দূরের যাত্রায়।
তিনি বলেন, গাড়ির ফিটনেস ঠিক রাখতে হবে। লক্কড় ঝক্কর গাড়িতে রং দিয়ে লাভ নেই। ঈদ যাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া না নিতে পরিবহন মালিকদের আহ্বান জানাই। মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে সব সময় যানজট লেগে থাকে, জনস্বার্থে তা সমাধান করতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, লক্কর-ঝক্কর গাড়ি রঙ করে দেখানোর কিছু নেই, গাড়ির ফিটনেস তৈরি করতে হবে। জরাজীর্ণ গাড়িতে রাজধানী ভরে গেছে, বার বার বলা হলেও পদক্ষেপ নিচ্ছে না মালিকরা। বিষয়টিতে কঠোর নজরদারী করতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ঈদের সময় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সড়কে যেন খোঁড়াখুঁড়ি করা না হয়। এবার জলোচ্ছ্বাসে বেশ কিছু রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঈদের সাত দিন আগে এসব সড়ক ঠিক করতে হবে।
বিআরটিসি প্রসঙ্গে কাদের বলেন, তারা এখন লাভে রয়েছে, কিন্তু সেখানে হতাশার কথা শোনা যায়। সড়কে কিশোর ড্রাইভার গাড়ি চালাচ্ছে, কোনো হেলপার যেন গাড়ির ড্রাইভিং সিটে না বসে সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। স্পিড লিমিট এর বিষয়ে আরো মনিটরিং বাড়াতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, গার্মেন্টস ছুটির বিষয়টি সমন্বয় করতে হবে। একই সময় ছুটি দেয়া হলে যানযট হয়।