যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে নিরাপত্তা চুক্তি হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৪, ০৫:০৪ পিএম

নিরাপত্তা চুক্তি সই করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন - ছবি : সংগৃহীত

নিরাপত্তা চুক্তি সই করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন - ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে। ইতালিতে গ্রুপ অব সেভেন শীর্ষ সম্মেলনে আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি এাই চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পারেন বলে জানিয়েছেন ভয়েস অব আমেরিকা। জেলেন্সকির সাথে বৃহস্পতিবারের বৈঠকের পর বাইডেনের যৌথ সংবাদ সম্মেলন করার পরিকল্পনা আছে।

এ বিষয়ে হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সালিভান বলেন, এই চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে রাশিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানিয়ে দেয়া হবে।

সালিভান বলেন, ভ্লাদিমির পুতিন যদি মনে করেন যে ইউক্রেনের সমর্থক জোটকে তিনি পাস কাটিয়ে যেতে পারবেন তা হলে তিনি ভুল ভাবছেন। চুক্তিটিতে আরও ১৫টি দেশ স্বাক্ষর করেছে তবে তাতে রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষার ব্যাপারে সরাসরি সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য পাঠানোর কোন প্রতিশ্রুতি থাকছে না।

হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কার্বি গত মঙ্গলবার সংবাদদাতাদের বলেন, আমরা রাশিয়ার এই যুদ্ধ যন্ত্রের ব্যয় বাড়ানো অব্যাহত রাখবো, আমরা রাশিয়ার অব্যবহৃত সম্পদের মূল্য অবমুক্ত করার নতুন পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করব, যাতে ইউক্রেন লাভবান হবে এবং পুতিনের সেনাবাহিনী ইউক্রেনে যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তা থেকে তাদের উদ্ধার পেতে সাহায্য করবো।

জি-সেভেন নেতারা এই শীর্ষ বৈঠকে আরো কিছু চ্যালেঞ্জের কথা তুলে থরার পরিকল্পনা করছেন যেগুলোর মধ্যে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ, চীনের সাথে বাণিজ্যের ভারসাম্যহীনতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অভিবাসন।

এ বছরের ১৩-১৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য এই শীর্ষ সম্মেলন জি-সেভেনের কোনো কোনো নেতা যারা নিজেদের দেশে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন তাদের জন্য শেষ সম্মেলন হতে পারে। ডেমক্র্যাট বাইডেন রিপাবলিকানদের সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হচ্ছেন। এ দিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাম্প্রতিক নির্বাচনে অনেকগুলো অতি-ডানপন্থি ইউরোপীয় দল জয়লাভ করেছে।

কোনো কোনো রাজনৈতিক বিশ্লেষক আশঙ্কা করছেন, যদি জি-সেভেন নেতারা অভিন্ন বিষয়গুলিতে ঐকমত্য পোষণে ব্যর্থ হন, তা হলে কী হবে!

আন্তর্জাতিক বিষয়ের চিন্তক গোষ্ঠী আটলান্টিক কাউন্সিলের জিও-ইকনমিক সেন্টারের ঊর্ধ্বতন পরিচালক জোশ লিপ্সকি বলেন, আপনার যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ইউরোপের কর্মকর্তাদের কাছে এ রকম কথা প্রায়ই শুনে থাকেন: আমরা যদি এখনই এটা করিয়ে নিতে না পারি, সেটা চীনের ব্যাপারেই হোক কিংবা সম্পদের ব্যাপারে , আমাদের আরেকটা সুযোগ না ও হতে পারে। আমরা ঠিক জানি না এখন থেকে তিন মাস পর, ছয় মাস পর, নয় মাস পর পৃথিবীটা ঠিক কেমন হবে।

কার্বি অবশ্য আশাবাদী কথা বলেছেন। তিনি বলেন, আমাদের প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস আছে যে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আসনগুলো যারাই লাভ করুন না কেন আমরা আমাদের অভিন্ন বিষয়গুলো নিয়ে ইউরোপ মহাদেশ জুড়েই ইউরোপীয় সহযোগীদের সথে কাজ করে যাবো। আর তাতে থাকছে ইউক্রেনকে সমর্থনের কথাও।


সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh