নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৪, ১২:৫১ পিএম
গৃহবধূর লাশ দেখতে মানুষের ভিড়। ছবি: নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছেন। নিহত ফারজানা আক্তার (২২) সুবর্ণচর উপজেলার চরবৈশাখী গ্রামের বসির উল্যার মেয়ে।
আজ শুকবার (১৪ জুন) দুপুরের দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এর আগে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের চরকলমি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতের বাবা বসির উল্যাহ অভিযোগ করে বলেন, ৫-৬ বছর আগে চরকলমি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের বড় ছেলে জহিরুল ইসলামের সাথে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। জহির স্থানীয় বাজারে স্টিলের আলমারির ব্যবসা করেন। ব্যবসার সুবাদে তার দোকানে আসা একাধিক নারী গ্রাহকের সাথে সে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ফারজানা স্বামীর মোবাইলে একটি মেয়ের সাথে তার যৌথ ছবি দেখতে পান। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে স্বামী ফারজানাকে মারধর করে।
নিহতের বড় ভাই খবির উদ্দিন বলেন, জহিরের একাধিক পরকীয়ার ঘটনা তারা সমাধান করেছেন। গতকালও তারা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু স্বামীর পরকীয়ার বিষয়টি আমাদেরকে জানানোর কারণে স্বামীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা তাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজায়। এমনকি তার বোনের মৃত্যুর খবরও তাদেরকে দেওয়া হয়নি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুস সুলতান বলেন, স্বামী অন্যত্র এক নারীর সাথে পরকীয়া করত। স্বামীর মোবাইলে এসব ছবি দেখে ফেলে স্ত্রী। ওই ঘটনার জের ধরে স্বামী স্ত্রীকে চড়-থাপ্পড় দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
ওসি তদন্ত আব্দুস সুলতান আরো বলেন, পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।