সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি যুবক নিহত

চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৪, ০৩:১৩ পিএম

সড়ক দুর্ঘটনা নিহত তিন যুবক। ছবি: চাঁদপুর প্রতিনিধি

সড়ক দুর্ঘটনা নিহত তিন যুবক। ছবি: চাঁদপুর প্রতিনিধি

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশের তিন যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সৌদি আরবের আফিফ শহরের বিশ্ব রোডে দুই মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাতে নিহতদের পরিবারের মাঝে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তাদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।

নিহতরা হলেন- চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ৩নং দক্ষিণ আলগী ইউনিয়নের চরভাঙ্গা গ্রামের ইসমাইল ছৈয়ালের ছোট ছেলে সাব্বির, একই ইউনিয়নের বর্ডারফুল এলাকার জামাল চৌকিদাদের ছেলে সবুজ চৌকিদার ও ২নং আলগী দূর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে রিফাত।

আজ শুক্রবার (১৪ জুন) সকাল ১০টায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ২নং আলগী দূর্গাপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান পাটোয়ারী।

তিনি বলেন, তারা তিনজন সৌদি আরবের আল আলিফ শহরে কর্মরত ছিলেন। সেখানেই সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন মারা যান। তাদের মরদেহ দেশে আনার জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে।

এদিকে শুক্রবার সকালে সরজমিনে নিহতদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, স্বজন হারানোর শোকে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারে সদস্যরা। চার বছর আগে সৌদি আরব পাড়ি দেওয়া রিফাত ঈদের পর দেশে আসার কথা ছিল। রিফাত আসবে ঠিকই, তবে জীবিত নয়, মৃতদেহ। এমন বিলাপে কান্নাকাটি করছে তার বোন আর মা-বাবা।

রিফাতের বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ছেলে দেশে আসার কথা। নতুন আকামা করবে। কত স্বপ্ন ছিল।  সব শেষ হয়ে গেলো। ছেলের শোক কিভাবে সইবো।’

দুর্ঘটনায় নিহত আরেক যুবক সাব্বির হোসেন নিহত রিফাতের খালাতো ভাই। তারা কনট্রাকটর সবুজ হোসেনের সাথে কনস্ট্রাকশনের কাজ করতেন। পরিবারের দাবি সাব্বিরের মৃতদেহ দ্রুত দেশে আনার ব্যবস্থা করা হোক।

সাব্বিরের বাবা ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘কোন টাকা পয়সা চাই না। ছেলেটারে দেখতে চাই। নিজের হাতে দাফন করবো।’

মাত্র দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তানকে সৌদি আরবে নেয় কন্ট্রাক্টার সবুজ হোসেন। তিনি দীর্ঘ বছর সৌদি প্রবাসী। নিজেই গাড়ি ড্রাইভ করে বাসায় ফেরার পথে দুর্ঘটনায় কবলিত হন। তার বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১২ নং পশ্চিম চরদুখিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বিশ কাটাখালী গ্রামে। মৃত্যুর খবরে মা-বাবা ও চার ভাই -বোনের সংসারে চলছে শোকের মাতম।

সবুজের বাবা জামাল ফকির বলেন, ‘১৮ বছর ছেলে বিদেশ করে। দুই নাতিন আর বউমাকে নিয়ে গেছে। এখন পরিবারের আলোর প্রদীপ আর নেই। কে দেখাশোনা করবে এই বড় পরিবারের।’

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh