সিলেটে নদ-নদীতে হু হু করে বাড়ছে পানি

সিলেট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৪, ০১:২৩ পিএম | আপডেট: ১৮ জুন ২০২৪, ০৫:৪৬ পিএম

বন্যার পানিতে অনেক এলাকা প্লাবিত। ছবি: সিলেট প্রতিনিধি

বন্যার পানিতে অনেক এলাকা প্লাবিত। ছবি: সিলেট প্রতিনিধি

ঈদের আগের দিন ও রাতে ভারি বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটের নদ-নদীগুলোর পানি হু হু করে বাড়ছে। এ কারণে সিটি করর্পোরেশনসহ জেলার ১২টি উপজেলা কমবেশি প্লাবিত হয়েছে।

গতকাল সোমবার (১৭ জুন) সকাল ৯টার পর থেকে জেলার সুরমা, কুশিয়ারা, গোয়াইন নদীর ছয়টি পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

আজ মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় সিলেটে ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানান জেলার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন।

তিনি বলেন, এর আগে ঈদের দিন পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৩৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

এর আগে গত ২৯ মে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছিল। ৮ জুনের পর থেকে বন্যা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসে। এরপর ১৭ জুন থেকে টানা ভারী বৃষ্টিতে আবার সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়।

স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও বন্যাকবলিত মানুষের সূত্রে জানা গেছে, নগর ও জেলায় প্রায় ৬০০ গ্রাম ও এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার গ্রামীণ অনেক রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অনেক কৃষিজমির ফসল তলিয়ে গেছে, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এখনো জেলার সুরমা, কুশিয়ারা, গোয়াইন নদীর ছয়টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে পানি সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ১ দশমিক ৩৩ সেন্টিমিটার ও সিলেট পয়েন্টে শূন্য দশমিক ২২ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ পয়েন্টে শূন্য দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে শূন্য দশমিক ৭৯ সেন্টিমিটার, সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে শূন্য দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার এবং সারি- গোয়াইন নদীর গোয়াইনঘাট পয়েন্টে শূন্য দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh