লাবণী মণ্ডল
প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ১১:৪৮ পিএম
ব্যক্তিগত বা কর্মজীবনে বহু জটিলতার মুখোমুখি হই। প্রতীকী ছবি
ব্যক্তিগত বা কর্মজীবনে বহু জটিলতার মুখোমুখি হই। অনিচ্ছা সত্ত্বেও সেই জটিলতা ঘাঁটি গেড়ে বসে। সহজ-সরল পথ ক্রমেই জটিল হয়ে ওঠে। এ থেকে বেরিয়ে আসতে দরকার জীবনকে সহজ করে তোলা। সহজ জীবনে জটিল সমস্যার সমাধানও সহজেই হতে পারে।
ব্যক্তিগত সময় : বাড়ি ও কর্মস্থলের মধ্যে একটি বিভক্তি রাখুন। ঘরের চিন্তা যেন কাজে ব্যাঘাত না ঘটায়; তেমনি কর্মস্থলের চাপ যেন ঘরের ব্যক্তিগত সময়কে প্রভাবিত না করে।
ঘুম থেকে ওঠা : শান্ত, নির্মল সকাল এক মূল্যবান উপহার। খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়ার অভ্যাস থাকলে অফিসে যাওয়ার আগে বেশি সময় পাওয়া যায়। এ সময়টা কিছু লেখালেখি, বই বা সংবাদপত্র পড়া, অথবা ধ্যান করার জন্য খুবই উৎকৃষ্ট।
বাদ দেওয়া : আমরা ক্রমশ জীবনকে বিভ্রান্তিতে ভরিয়ে দিই। সম্ভবত ভয় পাই যে, অবিরাম ইন্টারনেট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, খবর, টেলিভিশন, গেমস, স্ন্যাকস ছাড়া জীবন কেমন হবে। ছেড়ে দেওয়া কঠিন হতে পারে। তবে জীবনকে সহজ করতে অভ্যস্ততা থেকে বেরিয়ে আসা অনেক বড় বিষয়। এজন্য এক মাসের চ্যালেঞ্জ নিতে পারেন। ঘরে ফিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও টেলিভিশন দেখা এড়িয়ে চলুন। স্মার্টফোন সরিয়ে রাখুন। জীবন থেকে ফাস্টফুড বাদ দিন।
আপনজনকে সময় দিন : যারা জীবনে অর্থবহ, তাদের জন্য সময় বের করুন। স্বামী/স্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সময় কাটান। সন্তানদের জন্য পৃথক সময় রাখুন। এটা যে অনেকক্ষণ ধরে হতে হবে এমন নয়। তবে কোয়ালিটি টাইম হতে হবে। সম্ভব হলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে শরীরচর্চা করুন। এতে শরীর ও মনের সুস্থতা একই সঙ্গে বিধান হয়।
প্রতিশ্রুতি : বেশিরভাগ মানুষ খুব সহজেই অপরকে প্রতিশ্রুতি দেন। এতে সহজ জীবনযাপন জটিলতায় আক্রান্ত হয়। এজন্য জীবনে প্রতিশ্রুতির সংখ্যা কমিয়ে আনুন। অল্প কিছু প্রতিশ্রুতির কথা প্রতিদিন নিজেকে মনে করান। এতে জীবনের জটিলতা কমিয়ে আনা সম্ভব।
যোগ-বিয়োগের অঙ্ক : শুনতে চমৎকার বিষয়গুলোতে অনেক বিভ্রান্তি আছে। তা আমাদের উপলব্ধির চেয়ে বেশি প্রলুব্ধকর এবং ধ্বংসাত্মক। বিভ্রান্তি দিয়ে দিনের ছোট্ট একটি মুহূর্তও কাটানো থেকে বিরত থাকা উচিত। কিছু শূন্যতা, অপ্রাপ্তি থাকুক না জীবনে। যদি কোনো বিভ্রান্তি ছাড়াই একা শান্ত ঘরে বসে থাকতে শিখতে না পারেন, তাহলে জীবনকে সরলীকরণ করতে পারবেন না।
উত্তেজনা ও উৎপাদনশীলতা : উত্তেজনার চেয়ে সৃজনশীলতার ওপর বেশি জোর দেওয়া উচিত। এখানে নির্দিষ্ট বিষয়ে ফোকাস করা, তাতে অগ্রাধিকার আরও গুরুত্বপূর্ণ। প্রিয়জনের সঙ্গে হাঁটাও জীবনে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। দামি গেজেট বা ইন্টারনেটে থাকা ক্লাউনের দিকে নয়; বরং যে মানুষগুলো আপনার জীবনকে ভালোবাসায় পূর্ণ করেন, তাদের দিকে মনোযোগ থাকা উচিত।
অল্পে সন্তুষ্টি : কত কম বা বেশি জিনিস আছে, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। জীবনে সেই জিনিসগুলোর কাজ আছে কিনা, সেটি গুরুত্বপূর্ণ। এমন একশ বই, যা কখনোই পড়বেন না তা রাখার চেয়ে শেলফে ছয়টি বই রাখা ভালো।