পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৪ পিএম
পাবনার সুজানগরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা পদ্মা নদীতে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ছবি: পাবনা প্রতিনিধি
চলতি বর্ষা মৌসুমে পাবনার সুজানগরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা পদ্মা নদীতে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে নদীপাড়ের বাড়ি-ঘর ও ফসলী জমি।
স্থানীয়রা জানান, গত ৫/৬দিন হলো পদ্মা নদীতে ব্যাপক ভাবে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। বিশেষ করে পদ্মার ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে উপজেলার সাতবাড়ীয়া, নারুহাটি, রাইপুর, মাছপাড়া, গুপিনপুর, নিশ্চিন্তপুর এবং তারাবাড়ীয়াসহ ৮/১০টি গ্রামের বাড়ি-ঘর ও ফসলী জমি।
পদ্মা পাড়ের নারুহাটি গ্রামের বাসিন্দা আজিজুর রহমান বলেন, পদ্মার বড় বড় ঢেউয়ের তোড়ে শত শত বিঘা ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পদ্মায় পানি বৃদ্ধি এবং ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে পদ্মাপাড়ের ১০/১২টি গ্রামের অর্ধশত বাড়ি-ঘর, গাছপালা এবং হাজার হাজার বিঘা ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
এ উপজেলার মাছপাড়া গ্রামের পদ্মাপাড়ের বাসিন্দা আকবর আলী বলেন, আমার বাড়ি একদম পদ্মা নদীর পাড়ে। যেভাবে পদ্মার ঢেউ ধাক্কা মারছে তাতে যেকোন সময় আমার বাড়ি-ঘরসহ আশপাশের বাড়ি-ঘর ও মূল্যবান গাছ পালা নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে ভাঙ্গনের কবলে পড়তে পারে একাধিক শিক্ষা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয় নদী পাড়ের বসবাসকারীরা উদ্ধর্তন কর্তপক্ষের কাছে এই নদী ভাঙ্গন রোধের জোর দাবী জানান।
এ বিষয়ে পাবনা-২আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির বলেন ইতিপূর্বে ভাঙ্গনরোধে বেশ কিছু এলাকায় সিসি ব্লকের বাঁধ নির্মাণ এবং জিও ব্যাগ ফেলানো হয়েছে। খোঁজ-খবর নিয়ে ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় সিসি ব্লকের বাঁধ নির্মাণ এবং জিও ব্যাগ ফেলানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদকে প্রথমে অবহিত করলে তিনি বলেন সুজানগরে কোথাও নদী ভাঙ্গন নেই। পরবর্তীতে নৌকাযোগে উপজেলার সাতবাড়ীয়া, তারাবাড়ীয়া, নিশ্চিন্তপুর, গোপালপুর, হাজারবিঘা, চরবিশ্বনাথ, চরমানিকদীর এবং চরভবানীপুরসহ পদ্মা নদীর ভাঙ্গন কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।