লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১১:২৯ এএম | আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০২:২৯ পিএম
রেলওয়ের জমিতে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেওয়া হয়। ছবি: লালমনিরহাট প্রতিনিধি
বাধা পেয়ে রেলওয়ের জমিতে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করেই ফিরে গেছেন রেলওয়ের ভূসম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অভিযান স্থলে শতাধিক লোক জড়ো হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকালে শহরের বিডিআর রোডে রেলের জমির উপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, পৌরসভার বসুন্ধরা এলাকার ব্যবসায়ী শরীফ মো. আতাউল্লাহ রেলওয়ের এক হাজার বর্গফুট জায়গায় নির্মিত আধাপাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে যায় লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ভূসম্পত্তি বিভাগ। এর আগে আতাউল্লাহ সরকারকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে চলতি বছরের ১৩ জুন নোটিশ দেয় রেলওয়ে। ওই দিনই স্বাক্ষর করে নোটিশটি গ্রহণ করেন আতাউল্লাহ। নোটিশে চলতি বছরের ১ জুলাইয়ের মধ্যে রেলওয়ের জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে জমি রেলওয়েকে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু আতাউল্লাহ স্থাপনা সরিয়ে জমি বুঝিয়ে না দেওয়ায় অভিযানে যায় রেলওয়ের ভূসম্পত্তি বিভাগ। এছাড়া ওই স্থাপনা নিয়ে এর আগেও বিভিন্ন সময় বাঁধা এসেছে। প্রায় দুই বছর আদালতে মামলা চলার পর সম্প্রতি মামলা খারিজ করে দেন উচ্চ আদালত।
লালমনিরহাট রেলওয়ের ভূসম্পত্তি বিভাগের প্রধান ও ডেপুটি কমিশনার পূর্ণেন্দু দেবের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফৌর্স নিয়ে ওই উচ্ছেদ অভিযান চালাতে যান। কিন্তু এর আগেই সকাল থেকে আতাউল্লাহর সমর্থনে শতাধিক যুবক সেখানে অবস্থান নেয়। পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় অভিযান না করে ফিরে যায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা পূর্ণেন্দু দেব জানান, ব্যবসায়ী আতাউল্লাহ সরকারকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে ২০২১ সালের ২৩ আগস্ট প্রথমবার নোটিশ দেওয়া হয়। তিনি তখন নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে এবং নিজেকে রেলওয়ের একজন ইজারা গ্রহীতা দাবি করে জেলা জজ আদালতে একটি মামলা করেন। পরে পক্ষে রায় না পেয়ে ওই মামলা প্রত্যাহার করে উচ্চ আদালতে যায়। সেখানেও পক্ষে রায় না পেয়ে সর্বশেষ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে সিভিল রিভিউ পিটিশন করেন। চলতি বছরের ১৪ মার্চ সেই পিটিশন খারিজ করে দেন আদালত। পরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে যায়। কিন্তু উপস্থিত উচ্ছৃঙ্খল লোকজনের উপস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় অভিযান না চালিয়ে ফিরে এসেছেন। তবে আবারও উচ্ছেদের পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।