নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১১:৫০ এএম | আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১১:৫৮ এএম
কথিত প্রেমিক নাজমুল ইসলাম সজিব। ছবি: সংগৃহীত
স্কুল পড়ুয়া প্রেমিকাকে নিয়ে মোটরবাইকে ঘুরতে গিয়েছিলেন প্রেমিক। একসময় মোটরবাইকের জ্বালানি তেল ফুরিয়ে যায়। প্রেমিকের পকেটও গড়ের মাঠ। ফলে ফিলিং স্টেশনে প্রেমিকাকে বন্ধক দিয়ে সংগ্রহ করেন জ্বালানি তেল। অপতর, টাকা আনতে যাওয়ার কথা বলে চম্পট দেন ওই প্রেমিক। সম্প্রতি বাগেরহাটের রামপালে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে রামপাল থানায় প্রেমিকের অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত প্রেমিকের নাম নাজমুল ইসলাম সজিব। তিনি উপজেলার গাববুনিয়া গ্রামের মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে।
জানা গেছে, গত ২৬ জুন স্কুলে যায় সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই কিশোরী। ওই দিন দুপুরে প্রেমিক নাজমুল ইসলাম সজিবের সঙ্গে বিদ্যালয়ের সামনে থেকে মোটরসাইকেলে বেড়াতে যান। এরপর তারা ভাগা বাজার এলাকায় আসলে মোটরসাইকেলের জ্বালানি শেষে হয়ে গেলে সজীব স্থানীয় একটি ফিলিং স্টেশনে গিয়ে মোটরসাইকেলে পেট্রোল নেন। কিন্তু টাকা না থাকায় প্রেমিকাকে জিম্মায় রেখে টাকা আনার কথা বলে চলে আসেন। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেও ওই কিশোরী বাড়িতে না ফেরায় তার বাবা স্কুলে খোঁজ নেন। পরে খুঁজতে গিয়ে ফিলিং স্টেশন থেকে তাকে উদ্ধার করেন।
বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে কিশোরীর বাবাকে মারধর করে সজিবের পরিবার।
এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে গাববুনিয়া গ্রামের মো. শহিদুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, নাজমুল ইসলাম সজীব, মল্লিক মনিরুল ইসলাম, ফয়সাল মল্লিকদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।
এ অভিযুক্ত নাজমুল ইসলাম সজীবের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
রামপাল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমেন দাশ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।