নাটোরে ৫০টির অধিক সাপকে পিটিয়ে হত্যা

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪৬ পিএম

গর্ত থেকে সাপ উদ্ধার। ছবি: নাটোর প্রতিনিধি

গর্ত থেকে সাপ উদ্ধার। ছবি: নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের গুরুদাসপুরে এক বাড়ি থেকে ৫০টির বেশি সাপ উদ্ধারের পর পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।

আজ বুধবার (৩ জুলাই) সকালে উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের শিকারপাড়া গ্রামের আব্দুল মতিনের মাটির ঘর থেকে ওই সাপগুলো পর্যায়ক্রমে উদ্ধারের পর পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। তবে সাপ উদ্ধারের পর আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসীরা।

কৃষক আব্দুল মতিন জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মাটির ঘরে বসবাস করে আসছেন। আজ বুধবার (৩ জুলাই) সকালে দরজার পাশে একটি সাপের বাচ্চা দেখতে পান তিনি। তারপর সাপটিকে মারতে গেলে গর্তের ভেতরে লুকায়। পরে প্রতিবেশী কয়েকজন যুবকের সহযোগিতায় গর্তগুলো লোহার সাবল দিয়ে খুড়ে খুড়ে একের পর এক সাপের বাচ্চা ও বড় সাপ বের করা হয়। প্রায় এক ঘণ্টা ঘরের বিভিন্ন দেয়াল খুড়ে ছোট বড় প্রায় ৫০টির বেশি সাপ উদ্ধার করা হয়। অনেকগুলো সাপ দেখে আতঙ্কে স্থানীয়রা মিলে সাপগুলোকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মেহেদী হাসান জানান, আব্দুল মতিনের বাড়ি থেকে এতগুলো সাপ বের হওয়ার পর থেকে গ্রামবাসী এবং আশপাশের প্রতিবেশীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রশাসনিকভাবে নিয়মিত তল্লাশি চালিয়ে এই এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার। এছাড়াও উদ্ধার হওয়া সাপগুলো বনবিভাগ থেকে সংরক্ষণ করতে পারলে স্থানীয়রা আতঙ্কে সাপ মেরে ফেলতে পারবে না।

এদিকে পরিবশেকর্মী সাইফুল ইসলাম ও নাজমুল হাসান বলছেন, সাপগুলোকে না মেরে পরিবেশকর্মী, বন বিভাগসহ প্রশাসনকে খবর দেওয়া যেত। তাছাড়াও সাপগুলো পিটিয়ে মারা ঠিক হয়নি। বনবিভাগকে খবর দিলে অবশ্যই সাপগুলোকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে দিয়ে আসতো এবং অর্ধশতাধিক সাপগুলোও বেঁচে থাকত। তবে সেগুলো কোন ধরনের সাপ ছিল সেটি শনাক্ত করা যায়নি। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh