টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৪, ০৩:০৯ পিএম | আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪, ০৩:২৪ পিএম
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ।
কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
সরকারি চাকরিতে কোটা-পদ্ধতি বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে মাভাবিপ্রবি থেকে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের থেকে জানা যায়, আজ শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ৮টা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ দ্বিতীয় দিনের মতো শুরু হয়।
এরপর সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে দলে দলে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করে। পরবর্তীতে তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু মহাসড়ক অবরোধের সিদ্ধান্ত নেয়।
সরেজমিনে টাঙ্গাইলের নগর জলফৈ (বাইপাস) এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু মহাসড়ক অবরোধ করে কোটা বাতিলের আন্দোলন শুরু করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে শুরু করেন। এসময় মহাসড়কে প্রায় ২০ কিলোমিটার যানবাহন চলাচল থেমে যায়। অ্যাম্বুলেন্সসহ সকল জরুরি যানবাহনের জন্য।
বিক্ষোভ সমাবেশে বিএমবি বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা শিক্ষার্থীরা কখনও সারাদিন রাস্তায় রাস্তায় আন্দোলন করতে চাই না, আমরা পড়াশোনা করতে চাই। কিন্তু আমাদের কিছু করার নাই। কারণ যে পরিমাণ কোটা, তাতে দেশের মেধাবীরা চাকুরি না পেয়ে দেশের বাইরে চলে যাবে, দেশে সরকারি চাকুরিতে করার আগ্রহও হারাবে।
সমাবেশে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তৌকির আহমেদ বলেন, বৈষম্যমূলক কোটার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। আমরা ইতোপূর্বেও সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। এ বৈষম্য দূর না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।
টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাকিব বলেন, এই আন্দোলন কোনো সরকার বিরোধী আন্দোলন না, এই আন্দোলন আমাদের সকলের ভবিষ্যৎ নিশ্চিতের আন্দোলন। যৌক্তিক দাবি আদায়ের আন্দোলন। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যেতে চাই।
সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রহুল আমীন শরিফ জানান, মহাসড়ক অবরোধ করে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে আন্দোলন কাম্য নয়। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল। আমরা তাদের সাথে আলোচনা করছি ও তাদের দাবিগুলো উপর মহলে জানানো হবে।