শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৪, ০৩:১৪ পিএম
রেঞ্জ কর্মকর্তার বিচার দাবি। ছবি: শেরপুর প্রতিনিধি
শেরপুরের বালিজুরি রেঞ্জ অফিসের দুর্নীতির অভিযোগ উঠা সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলামের বিচারের দাবিতে এবং বন বিভাগ কর্তৃক স্থানীয় উপকারভোগী ও কাঠ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানির প্রতিবাদে রেঞ্জ অফিস ঘেরাও, বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
আজ রবিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে শ্রীবরদী উপজেলা বালিজুরি রেঞ্জ অফিসের সামনে স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী ও উপকারভোগীরা বিক্ষোভ সমাবেশ এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
সমাবেশে ব্যবসায়ীদের পক্ষে মো. দুলাল মিয়া তার লিখিত ও মৌখিক বক্তব্যে জানায়, বিগত ২০১৮-১৯ হতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বালিজুরি রেঞ্জ অধীনে কাঠ ব্যবসায়ীবৃন্দ দরপত্রের মাধ্যমে প্রায় ২৩০টি উডলট বাগান নিলামে ক্রয় করেন। এসব বাগানের সাকুল্য টাকা তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের কাছে কাঁচা রশিদের মাধ্যমে মৌখিক নির্দেশনায় ভিন্ন ভিন্ন লটের বিভিন্ন কিস্তি অফিস সহকারী ওহিদুজ্জামান ও রিপনের কাছে জমা দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী ওই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে দুর্নীতিবাজ রবিউল ইসলাম নিজেই আত্মসাৎ করেন। যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করে প্রমাণিত হয় এবং তাকে তারপর থেকে থেকে প্রাথমিকভাবে বরখাস্ত করেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় আমরা ব্যবসায়ীরা টাকার জমা দিলেও তিনি আত্মসাৎ করার পর বন বিভাগ জেনেও আমাদেরকে পুনরায় অর্থ পরিষদসহ মামলা দেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করছেন। সেই সাথে ওই রেঞ্জের প্রায় বিভিন্ন সনের উপকারীদের লভ্যাংশ দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে ওই দুর্নীতিবাজ রেঞ্জারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়া সংবাদ প্রকাশিত হয়। তাই তদন্তপূর্বক তাদের পরিশোধিত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমাদানসহ তাদের দাখিলকৃত পে অর্ডার ফেরত দিয়ে এবং মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগ থেকে পরিত্রাণ করতে জোড় দাবি জানায় বিক্ষোভকারীরা।
এ বিষয়ে বালিজুরি রেঞ্জের বর্তমান রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সুমন মিয়া বলেন, অভিযুক্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে এবং তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সাথে তার বিরুদ্ধে শ্রীবরদী থানায় মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিষ্পত্তি সাপেক্ষে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও উপকারভোগীদের সমস্যার সমাধান করা হবে।