কক্সবাজারে ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১১

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৩ এএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার শহরে সংঘটিত হামলা, ভাঙচুর ও ছাত্রলীগের চার নেতাকে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা ৪ মামলায় আরো ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার (২৪ জুলাই) বিকেল ৫টায় কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, কক্সবাজারে সংঘটিত ঘটনায় ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরো ১১ জনসহ এ পর্যন্ত ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় জড়িতদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে। ভিডিও, ছবি দেখে যাদের শনাক্ত করা যাচ্ছে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরুতে কক্সবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু গত ১৬ জুলাই বেলা ১১ টায় মিছিল করে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম সড়কের লিংক রোড এলাকায় অবস্থান নেয় কক্সবাজার পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী ও শিবির নেতারা। পুলিশ ওই সময় সড়ক থেকে তাদের সরিয়ে দিলেও এরা মিছিল সহকারে কক্সবাজার সরকারি কলেজে গেইটে যান। ওখানে আগে থেকে অবস্থান নেয়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওখানে গাড়ি ভাঙচুরও করা হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর আন্দোলনকারীরা আবারো অবস্থান নেন সদরের লিংকরোড এলাকায়। আবারো পুলিশ তাদের সরিয়ে দেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা ওখান থেকে বিকেল ৪ টায় মিছিল সহকারে কক্সবাজার শহরে আসে। তারা শহরের লাল দিঘীর পাড় এলাকায় গিয়ে যেখানে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগ, জাসদ ও জাতীয় পার্টির কার্যালয় ভাঙচুর করে। কুপিয়ে ও মারধরে আহত করা হয় ছাত্রলীগের চার নেতাকে। একই সময় পাশের একটি মসজিদেও ভাঙচুর করে তারা।

ওই ঘটনার পর বুধবার উভয়পক্ষ মিছিল ও সভা করে কর্মসূচি শেষ করে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর চালানো হয় তাণ্ডব। সন্ধ্যার পর আন্দোলনকারীরা মিছিল সহকারে বাস টার্মিনাল হয়ে গাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, বোমা বিস্ফোরণ করতে করতে আসতে থাকে শহরের দিকে। এ খবরে লালদিঘীর পাড় এলাকায় জড়ো হন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। মিছিলটি ওই এলাকায় পৌঁছার সাথে সাথেই উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়।

একের পর এক গুলিবর্ষণ, হাত বোমার বিস্ফোরণে সংঘর্ষ চলতে থাকে। রাত ৯ টার দিকে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই সময় লালদিঘীর পাড় এলাকায় অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ। আন্দোলনকারীরা অবস্থান নেন ফজল মার্কেট এলাকায়। এক পর্যায়ে পুলিশ-বিজিবি, র‌্যাবের সাথেও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয় আন্দোলনকারীদের। ওই দিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সময় লাগে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত। ওই দিনের ঘটনায় একজনের মৃত্যু ও আহত হন আরো ৩৭ জন।

শুক্রবার সন্ধ্যার পর আবার শহরের প্রধান সড়কের বার্মিজ মাকের্ট, টেকপাড়া, তারাবানিয়ার ছড়া, রুমালিয়ারছড়া, আলীজাহান এলাকায় অবস্থান নেন এরা। মধ্যরাত পর্যন্ত গাড়ি ভাঙচুর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh