নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৭ এএম
বিএনপি-জামায়াতের লোগো
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে নাশকতার ঘটনায় হওয়া মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বিএনপি-জামায়াতের ৪০৫ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বুধবার (২৪ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের পৃথক কয়েকটি আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। তিন দিনের রিমান্ড শেষে বিটিভিতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে করা মামলায় এদিন আমীর খসরুকে কারাগারে পাঠান আদালত।
কারাগারে যাওয়া আসামিদের মধ্যে বাড্ডা থানার ২৬ জন, ভাটারা থানার চারজন, কোতোয়ালি থানার আটজন, বংশাল থানার পাঁচজন, লালবাগ থানার ১১ জন, চকবাজার চার, বনানী ১১ জন, গুলশানে একজন, কদমতলী ১৬ জন, তুরাগ সাতজন, উত্তরা পূর্ব ৩৩ জন, পশ্চিমে সাতজন রয়েছেন।
এছাড়াও ধানমণ্ডি তিনজন, বিমানবন্দরে পাঁচজন, মুগদায় একজন, যাত্রাবাড়ী ৯৯ জন, ডেমরা থানার সাতজন, পল্টন মডেল থানার তিনজন, শাহজাহানপুর থানার পাঁচজন, মতিঝিল থানার চারজন, রামপুরা থানার ছয়জন, সবুজবাগ থানার তিনজন, মিরপুর মডেল থানার ১৪ জন, শেরেবাংলা নগর থানার এক, কাফরুল থানার একজন, পল্লবী থানার ৯ জন, রূপনগর থানার ৯ জন, শাহবাগ থানার একজন, রমনা থানার একজন, ক্যান্টনমেন্ট চারজন, ওয়ারী থানার ২১ জন, সূত্রাপুর ছয়জন, সবুজবাগ থানার তিনজন, রামপুরা থানার ছয়জন, নিউমার্কেট থানার একজন, কলাবাগান থানার দুজন, তেজগাঁও থানার দুজন, হাতিরঝিল থানার ২০ জন, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ১৪ জন, মোহাম্মদপুর থানার আটজন, আদাবর থানার তিন ও খিলগাঁও থানার একজন, আশুলিয়া থানার ছয়জন ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার তিনজন আসামি রয়েছেন।
এদিকে সেতু ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ ৭ জনের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে যাওয়া অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন-ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল আলম মজনু, ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা, মো. মহিউদ্দিন হৃদয়, রশীদুজ্জামান মিল্লাত ও মো. তরিকুল ইসলাম তেনজির।
এছাড়া ঢাকার নয় থানার পৃথক কয়েকটি মামলায় আরো ৩৪ জনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। এর মধ্যে ধানমণ্ডি থানার মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরসহ সাতজনের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ মামলায় রিমান্ডে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- শ্যামপুর থানা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মো. কামরুল হাসান রিপন, মো. মোবারক হোসেন, ড্যাবের সাবেক সভাপতি ডা. মো. সালাহ উদ্দিন সাঈদ, মোহাম্মদ আলী, মেহেদী হাসান ও বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী।
এছাড়া শাহবাগ থানার দুই মামলায় নয় আসামির বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর মধ্যে সাতজনের চারদিন এবং দুজনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ক্যান্টনমেন্ট থানার এক মামলায় চারজনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় চারজনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। চকবাজার থানার মামলায় একজনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মোহাম্মদপুর থানার মামলায় একজনের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এদিকে ঢাকা জেলার তিন থানার মামলায় আরো নয়জনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দোহার থানার তিনজন নবাবগঞ্জ থানার দুইজন ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানার চারজন রয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের ৫৬৪ জনকে কারাগারে ও ১৭ জনকে রিমান্ডে পাঠানো হয়।
সোমবার কারাগারে পাঠানো হয় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আমানউল্লাহ আমানসহ ১৭৩ জনকে। এছাড়াও রবিবার ১৭৩ জন, শনিবার ৪৯ জন এবং শুক্রবার ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণসহ ৭ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়।