নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৬ এএম
কোটা আন্দোলনে মিরপুর মেট্রোরেলে স্টেশন ও তার পাশের ওভারব্রিজে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ছবি: সংগৃহীত
সরকারি চাকুরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে সহিংসতা ও নাশকতার জন্য বিদেশ থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)। সম্প্রতি র্যাব মুখপাত্র লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস জানান, বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করা হয়। ভাঙচুর ও সহিংসতার ছবি পাঠানো হয় বিদেশেও। ওই আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করে নাশকতা চালিয়েছে মোবাইল টেকনিশিয়ান, গণঅধিকার পরিষদ নেতা আর বিএনপিপন্থি ইঞ্জিনিয়ার্স সংগঠন (অ্যাব) নেতারা। তাদের নেতৃত্বে বিটিভি, মেট্রোরেল ও পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে বলে দাবি র্যাবের ।
র্যাব মুখপাত্র মুনীম ফেরদৌস বলেন, যাদের ১০-১২টি বা তার অধিক আ্যাকাউন্টস রয়েছে তার মাধ্যমে সরকার, রাষ্ট্র বিরোধী বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপে বা প্রচারণামূলক কর্মকাণ্ড চালায়। বিসিএস স্পট লাইট এবং চাকরি প্রার্থী নামে ফেসবুকে তাদের বিভিন্ন ধরনের প্রোফাইল রয়েছে। এসবের মাধ্যমে তারা জনমত তৈরি করে এবং তার মাধ্যমে তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য ব্যবহার করে।
র্যাব জানায়, রাজধানীর রামপুরা এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের মাঝে ঢুকে পড়ে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল। তারা একে একে পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেয়। এরপর ধ্বংসযজ্ঞ চালায় কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশনে। এসব নাশকতায় জড়িত মিরপুর এলাকার মোবাইল টেকনেশিয়ান আরিফুল ইসলাম ও গণঅধিকার পরিষদের একাংশের নেতা তারেক রহমান।
এছাড়াও, জড়িত ছিল বিএনপিপন্থি ইঞ্জিনিয়ার্স সংগঠনের (অ্যাব) সহসভাপতি কামরুল আহসান। মূলত সাইবার জগতে সদস্য সংগ্রহ ও তাদের নজরদারি করতেন এই বিএনপি নেতা। তিনি ২০০ সদস্যের আলাদা গ্রুপ করে নাশকতা নির্দেশনাও দেন।
এদিকে মেট্রোরেল, বিটিভি ভবন ও রামপুরা এলাকায় জামায়াত ও শিবিরের নেতারা নাশকতার দায়িত্বে ছিলেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।
তিনি বলেন, দেশের ভেতর থেকে আর্থিক বিনিয়োগ করা হয়েছে এবং দেশের বাইরে থেকেও বিনিয়োগ করা হয়েছে, পরামর্শ দেয়া হয়েছে, উষ্কানি দেয়া হয়েছে। সবগুলো তথ্য কিন্তু আমরা পেয়েছি। ইতিমধ্যে আমাদের কাছে যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তারা এ তথ্যগুলো কিন্তু আমাদের কাছে দিচ্ছেন এবং আমরা সেই তথ্যগুলো মিলিয়ে দেখছি। নাশকতায় জড়িত ও তাদের আর্থিক সহায়তাকারীদের ধরতে বিশেষ অভিযান ও ব্লক রেইড প্রতিরাতে চলবে বলে জানান তিনি।