পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৬ এএম
পঞ্চগড় বিএনপির অফিস।
কোটা আন্দোলনে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় জেলা বিএনপির দলীয় অফিসে আগুন ও ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনার পর এগারো দিন হলেও অফিস মেরামতে উদ্যোগ নিতে পারেনি দলটির নেতারা। কোটা আন্দোলনের ঘটনায় দেড় হাজার আসামি করে পুলিশের দুইটি মামলা ও ২১০ জনকে আসামি করে স্থানীয় এক যুবকের করা আরেকটি মামলায় গা-ঢাকা দিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
গতকাল সোমবার (২৯ জুলাই) বিএনপির দলীয় অফিস গিয়ে দেখা যায়, চেয়ার, টেবিল, ব্যানার, পোস্টার, ছবি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভেঙে ফেলা হয়েছে গেইট ও প্রাচীরের গ্রিল।
এই বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পল্লি উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেন, কোটা আন্দোলন ছিল শিক্ষার্থীদের, আমাদেরও জাতীয় কর্মসূচি ছিল দলীয় অফিসে। ছাত্ররা বিক্ষোভ করছে পুলিশ টিয়ারসেল মারছে। ছাত্ররা এমপির গাড়ি ভাঙচুর করেছে। তার সূত্র ধরে আমাদের দলীয় কার্যালয়ে আগুন দিয়ে ভাঙচুর করেছে। তারপরও বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর তিনটি মামলায় ১৭০০ আসামি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৬০ জনকে আটক করা হয়েছে। অফিসের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয়নি। তবে অফিসে কোন কিছু নাই চেয়ার, টেবিল, ছবি, আলমিরা টেলিভিশন সব পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দল থেকে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ১৮ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। এর আগে ১৭ জুলাই রাতে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন এ কথা জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ১৯ জুলাই (শুক্রবার) জুম্মার নামাজের পর এই ঘটনা ঘটে।