গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৪, ০৬:২৩ পিএম
উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক সমাবেশ। ছবি: গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন, নির্বিচারে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি ও হত্যার প্রতিবাদে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে গাইবান্ধা ডিবি রোডের আসাদুজামান মার্কেটের সামনে জেলা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে ২ শতাধিক মানুষকে হত্যা, দমন-পীড়ন, গুলির পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় নাশকতার নিন্দা জানিয়ে এ আন্দোলনে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা ও নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় প্রকাশের দাবি করে উদীচী।
সেই সঙ্গে প্রাণহানির ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করার দাবি জানিয়ে সমাবেশে বক্তারা বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমনে অনাকাঙ্ক্ষিত বলপ্রয়োগের যে ঘটনা পরিলক্ষিত হয়েছে, তা কখনোই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য কাম্য নয়। একই সঙ্গে আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় যে নজিরবিহীন নাশকতা চালানো হয়েছে তা নিন্দনীয়।
উদীচীর গাইবান্ধা জেলা সংসদের সভাপতি অধ্যাপক জহুরুল কাইয়ুম এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।
এতে বক্তব্য রাখেন, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর গাইবান্ধা জেলা সংসদের উপদেষ্টা ওয়াজিউর রহমান সংস্কৃতিকর্মী শিরিন আকতার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সরকার এমন একটি পর্যায়ে চলে গেছে, তারা সন্তানদের সাথে আলোচনার টেবিলে বসতে ভয় পাচ্ছে। ছাত্রদের সকল দাবি মেনে নেওয়ার দাবি জানান তারা। ডিবি প্রধানে সমালোচনা করে বলেন, কোটা আন্দোলনের ৬ সমন্বয়কে তুলে নিয়ে ডিবি অফিসে খাওয়ায়ে ফেসবুকে ছবি তুলে ছেড়ে দিয়ে এই জাতির সঙ্গে মশকড়া করছেন। ডিবির ৬ সমন্বয়কে নিরাপত্তার নামে আটকে রাখা অযৌক্তিক। সন্তান তার পরিবারের চেয়েও কি ডিবি অফিস বেশী সুরক্ষিত। এসব নাটক বন্ধের দাবিও জানানো হয়।
তারা আরো বলেন, আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রত্যেক মানুষের সুচিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে রাষ্ট্রকে। আন্দোলন ঘিরে নাশকতার হাত থেকে রাষ্ট্রীয় স্থাপনা রক্ষায় যারা ব্যর্থ হয়েছেন, তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ করা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের যে খেলা শুরু হয়েছে তা বন্ধ করতে হবে। দমন-পীড়ন ও হত্যা-নির্যাতন বন্ধ করে অবিলম্বে দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।