নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২৪, ০৩:৫০ পিএম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে ড. ইউনূসের দাবি অসাংবিধানিক ও বেআইনি। বাংলাদেশের ওপর বিদেশি হস্তক্ষেপে তার বিবৃতি রাষ্ট্রদোহীতার সামিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কাদের বলেন, দেশের বিভিন্ন আদালতে যখন ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অর্থপাচারের মামলা চলছে তখন চলমান বিচার থেকে বাঁচার জন্য তিনি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। তার এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা জন্য সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানাচ্ছে আওয়ামী লীগ।
কাদের আরও বলেন, ড. ইউনূস অতিসম্প্রতি একটা বিবৃতিতে বাংলাদেশের উপর হস্তক্ষেপ করার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে। তার এ ধরনের বিবৃতি বা মন্তব্য বাংলাদেশের সংবিধান, আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রদ্রোহিতার পর্যায়ে পড়ে এবং আন্তর্জাতিক আইনেরও চরম লঙ্ঘন। তিনি বাংলাদেশের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য বিভিন্ন দেশের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন। তার এ ধরনের কথাবার্তা সম্পূর্ণ অসংবিধানিক ও বেআইনি। তারই আহ্বান বাংলাদেশকে ছোট করেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। তিনি একজন নোবেল বিজয়ী। বাংলাদেশকে হীন করা তার পক্ষে কি শোভা পায়?
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক নির্বাচনে সাংবিধানিকভাবে বৈধ সরকার। সরকারের পরিবর্তন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই হওয়া সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি- জামাত সারাদেশ থেকে তাদের সন্ত্রাসীদের ঢাকায় এনে ধ্বংসলীলা ও সন্ত্রাসে মেতে উঠেছে। এই যে হত্যাযজ্ঞ, তদন্ত হচ্ছে, এতে সত্য বেরিয়ে আসবে। আন্দোলন দেখতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু, গুলি করা হয়েছে মাথায়। তদন্ত চলছে, আমরা তদন্ত কমিটিকে প্রভাবিত করতে পারি না। তবে এর রহস্য উন্মোচন করা দরকার।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের কাছে খবর আছে- আন্দোলনকারীদের মিছিলে জঙ্গিগোষ্ঠী অনুপ্রবেশ করে খুব কাছ থেকে গুলি করে। সেখানে হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারটাও ভাবতে হবে। দেখামাত্র গুলি নির্দেশ নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে বলে জানান সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই নির্দেশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেয়া হয়নি। সেনাবাহিনীও একটি গুলিও ছোড়েনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে তদন্ত হবে এবং হত্যাকারীদের চিহ্নিত করা হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আমাদের আহ্বান -নিরপরাধ কাউকে কোনো প্রকার হয়রানি যেন না করা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সবাইকে নিজ নিজ এলাকায় দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।