নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৪, ০৩:৪২ পিএম
ছাত্র-জনতা হত্যা, নির্যাতন এবং গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদ এবং শেখ হাসিনার পদত্যাগ চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের র্যালি। ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমনে ছাত্র-জনতা হত্যা, নির্যাতন এবং গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদ এবং শেখ হাসিনার পদত্যাগ চেয়ে র্যালি ও সংহতি সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
আজ শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্ত্বর থেকে শুরু করে শহিদ মিনার, দোয়েল চত্বর হয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে শিক্ষকেরা বলেন, দেশ এখন মিথ্যাচারের ওপর চলছে। আমরা হত্যাকারীদের কাছে বিচার চাইতে পারি না। সরকার যে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয় বৃহত্তম ছাত্র হত্যার ঘটনা। পৃথিবীর ইতিহাসে নৃশংসতম গণহত্যা করিয়েছে। এই হত্যকান্ডের স্বীকার শিশু, শিক্ষার্থী, শ্রমিক, সব শ্রেণির জনগণ। এ সরকার তাদের রক্তে লাল হয়ে আছে। আপনারা জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করুন। নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।
সাদা আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফুর রহমান বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের পর ও তার পূর্বে স্বাধীনতা যুদ্ধ ব্যতীত কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এতো মানুষ মারা যায়নি। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলন এই পর্যায়ে এসেছে সরকারের মন্ত্রীদের আচরণের জন্য। এসব হত্যার দায়, জাতীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির দায় এই সরকারকে নিতে হবে। আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে মোড় দিতে নতুন কমিটি গঠন করেছে অভিযোগ করে বলেন, সমন্বয়কদের বলবো কেউ আলোচনায় বসবা না। আমরা এই সরকারের পতন চাই। একটি জাতীয় সরকার গঠন করে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে।
সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক ও ঢাবির সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম বলেন, এই হত্যাকাণ্ড শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের হুকুমে হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে আমরা রাজাকারের ব্যাখ্যা শুনতে চাই। যারা এই আন্দোলনে নাই তারাই রাজাকার। সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করে লাশের সংখ্যা লুকিয়েছে। কয়েকটি ব্রীজ-স্টেশন রাষ্ট্রের সম্পদ নয়। তাজা প্রাণই রাষ্ট্রের সম্পদ। সুতরাং আর কোনো গুলি চালাবেন না। আমরা খুনীর কাছে বিচার চাই না। এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে বাংলাদেশকে নতুন করে স্বাধীন করতে হবে।
সাদা দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, গত ১৫ জুলাই থেকে সরকার তার বাহিনী দিয়ে সারা দেশে যে গণহত্যা চালিয়েছে তা স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। পাকিস্তানি হায়েনারা জাতির মোড় পরিবর্তনকারী ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন ও ১৯৬৯ এর গণভ্যুত্থানেও এতো হত্যা করেনি। অথচ এই সরকার আড়াইশত মানুষকে হত্যা করেছে। আমরা আর রক্তের হলি চাই না, আমরা স্বৈরাচার সরকারের পতন চাই।