অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০৬:২৫ পিএম
হামলার জন্য প্রস্তুত ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র। ফাইল ছবি
হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া ইরানের মাটিতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এরপর প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে ইরান। তবে তাৎক্ষণিক সামরিক প্রতিক্রিয়া দেখায়নি দেশটি। কিন্তু এখন আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে তারা।
শোনা যাচ্ছে, হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের পর চুপ থাকার আড়ালে যুদ্ধপ্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে দেশটি। বলা হচ্ছে, হামলার সম্ভাব্য তারিখের হিসাব-নিকাশে ঘুরছে ১৫ আগস্ট।
হানিয়ার হত্যার দায় চাপিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের চরম শত্রু ইসরায়েলকে গুঁড়িয়ে দিতে চায় মাসুদ পেজেশকিয়ানের সরকার। এখন সম্ভাব্য হামলার আতঙ্কে দিন কাটছে ইসরায়েলিদের।
দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি। তবে ইসরায়েলে যে ইরানের হামলা আসন্ন, তা নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ নেই। ইসরায়েলের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে এ নিয়ে পূর্বাভাস দিয়েছে। তাদের বিশ্বাস ইরান থেকে সরাসরি হামলা চালানো হবে ইসরায়েলে। কয়েক মাস আগেও ইরান থেকে সরাসরি ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল ইরান। তখন মিত্রদের সহায়তায় ইরানকে রুখে দিয়েছিল ইসরায়েল।
কিন্তু এবার আরো ক্ষিপ্ত ইরান। তাই আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে বলে জানিয়েছেন অ্যাক্সিওসের রিপোর্টার বারাক রাভিড। রবিবার দুটি সূত্রের বরাতে এমন তথ্য জানিয়েছেন তিনি। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে রাভিড লেখেন, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে কথা বলেছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ইরানের সামরিক প্রস্তুতি দেখে মনে হয়েছে ইসরায়েলে বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করছে তেহরান। তবে ঠিক কবে ইরান হামলা চালাবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। রাভিড বলেন, আগামী ১৫ আগস্টের আগেই এ হামলা চালাতে পারে ইরান। ওই দিন গাজার যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা আলোচনায় বসবে। তবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। গেল জুলাই থেকেই মধ্যপ্রাচ্য তেতে আছে। বৈরুতে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের শীর্ষ একজন কমান্ডার ফুয়াদ শুকুর ও ইরানে হানিয়া নিহত হওয়ার ঘটনায় বড় সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, ইরান ও তার মিত্র মিলিশিয়ারা একযোগে ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে।
শুকুরকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে ইসরায়েল। তবে হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছে তেলআবিব। ওই হত্যাকাণ্ডের পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এক বিবৃতিতে বলেন, হানিয়ার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়া ইরানের দায়িত্ব। কেননা তার হত্যাকাণ্ড ইরানের মাটিতে সংঘটিত হয়েছে। এরপর থেকেই আতঙ্ক ঘিরে ধরেছে ইসরায়েলকে।