নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০৫:১২ পিএম
মামলার তিন আসামি। ছবি: নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউসসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৪৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গত সোমবার (৫ আগস্ট) রাত নয়টার দিকে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়ে করা আনন্দ মিছিলে হামলা ও মারধর করার অভিযোগে হাতিয়া পৌরসভার চরকৈলাস গ্রামের বাসিন্দা আবদুল করিম (৪৭) বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলাটিতে মোহাম্মদ আলীর পরিবারের পাঁচ সদস্য ছাড়াও ১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয়েছে ১০০ থেকে ১২০ জনকে। মামলায় সাবেক এমপির পরিবারের অপর আসামিরা হলেন- মোহাম্মদ আলীর ভাই ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুব মোর্শেদ লিটন (৫৯) ও তার ছোট ছেলে মাহতাব আলী অদ্রি (২৬)।
পুলিশ জানায়, মামলায় ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা সাবেক দুই সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী, তার স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস এবং তাদের ছেলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশিক আলী ওরফে অমিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৮ আগস্ট বিকেল চারটার দিকে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি চরকৈলাস গ্রামের ওছখালী-সাগরিয়া সড়কের এমপির পোল এলাকায় পৌঁছালে সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী, তার স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস, ভাই মাহবুব মোর্শেদ ও ছেলে আশিক আলীর নির্দেশে ও নেতৃত্বে মিছিলে সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে বাদী আবদুল করিম, সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নাছির ও হাতিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমান গণিসহ অনেকে আহত হন। হামলাকারীরা এসময় সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রুবেল উদ্দিনের একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়।
যোগাযোগ করা হলে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিসান আহমেদ বলেন, মামলায় ৫৪ ধারায় আটক হয়ে কারাগারে থাকা মোহাম্মদ আলী, তার স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও ছেলে আশিক আলীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এছাড়া বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছ।
উল্লেখ্য, গত রবিবার রাত তিনটার হাতিয়ার নিজ বাড়ি থেকে সাবেক সংসদ সদস্য দম্পতি মোহাম্মদ আলী, আয়েশা ফেরদাউস ও ছেলে আশিক আলী অমিকে হেফাজতে নেয় নৌবাহিনী। পরে সোমবার সকালে হাতিয়া থানায় সোপর্দ করলে পুলিশ ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদর আদালতে সোপর্দ করে। আদালত শুনানি শেষে তাদে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।