পুলিশকে হয়ে উঠতে হবে জনবান্ধব

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৪০ পিএম

গ্রাফিক্স: সাম্প্রতিক দেশকাল

গ্রাফিক্স: সাম্প্রতিক দেশকাল

নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর প্রায় এক সপ্তাহ পার হতে চলেছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচার গুলি ও গণহত্যার প্রেক্ষাপটে রাজধানীসহ কয়েকটি স্থানে জনরোষের মুখে পড়েছিল পুলিশ। সে সময় থানা, ফাঁড়িসহ পুলিশের বেশ কিছু স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ হয়। এতে প্রাণহানির মতো দুঃখজনক ঘটনাও ঘটে।

সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী ৪২ জন পুলিশ নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা জানা যাচ্ছে ৫০৭। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১১ দফা দাবি জানিয়ে কর্মবিরতিতে গিয়েছিলেন পুলিশ সদস্যরা। এ বিষয়ে সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে ফলপ্রসু বৈঠকের পর কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় তারা। নতুন পুলিশ মহাপরিদর্শক সব সদস্যকে নিজ নিজ ইউনিটে যোগ দেওয়ার নির্দেশনা দিলেও, এখনো থানাগুলোতে স্বাভাবিক কাজ শুরু হয়নি। বরং অধিকাংশ থানায় পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছেন আর্মিরা। ফলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার বিভিন্ন প্রয়োজনে এখনো পুলিশকে পাচ্ছে না দেশের মানুষ।

যদিও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে পুলিশের হওয়ার কথা ছিল জনগণের বন্ধু; কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও তা হয়ে ওঠেনি। বরং আমরা এ সময়ে দেখেছি পুলিশের নির্লজ্জ দলীয়করণ। বিশেষ করে গত ১৫ বছরে তারা যেন হয়ে উঠেছিল দলীয় বাহিনী। কোনো কোনো কর্মকর্তা প্রকাশ্যে মিডিয়ার সামনে বক্তব্য দিয়েছেন রাজনীতিকের ভাষায়। যখন তখন যাকে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে অনির্দিষ্টকাল আটকে রাখা, খুন, গুম হয়ে উঠেছিল নৈমিত্তিক ঘটনা। 

বর্তমানে পুলিশের পোশাক ও লোগো পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে পোশাক পরিবর্তনই বড় কথা নয়; জনবান্ধব হয়ে ওঠার জন্য তাদের মনোজগতে কার্যকর পরিবর্তন আনতে হবে। অতীতের দলবাজ, দুর্বিনীতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, সেই সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh