সাভার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৪৯ পিএম
নবীনগর থেকে চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ।
ঢাকার সাভারে ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ডিইপিজেড) সামনে বিক্ষোভ করছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।
আজ রবিবার (১৮ আগস্ট) সকাল থেকে ডিইপিজেডের সামনের নবীনগর থেকে চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করায় সড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
দুপুর ৩ টার দিকে মহাসড়ক ছেরে ডিইপিজেডের ভেতরে অবস্থান নিলে সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশের সদস্যরা তাদের বুঝিয়ে মূল ফটকের সামনে নিয়ে আসেন।
দুপুর ১২ টার দিকে ডিইপিজেডের সামনে গিয়ে দেখা যায়, ডিইপিডের সামনে শতাধিক লোক জরো হয়ে বিক্ষোভ করছেন। সড়কের উভয় পাশে বাঁশ দিয়ে যানচলাচল আটকে দেওয়া হয়েছে। এতে ওই স্থান থেকে সড়কের উভয় পাশে অন্তত ৩ কিলোমিটার এলাকায় তৈরি হয়েছে যানজট। এসময় ডিইপিজেডের মূল ফটকের ভেতরের অংশে সেনাবাহিনী ও আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর সদস্যদের অবস্থান নিয়ে থাকতে দেখা যায়। দুপুর ৩টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি দল মহাসড়কে বিক্ষোভরত লোকজনদের বুঝিয়ে মহাসড়ক অবরোধ ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান।
অবরোধকারীরা মহাসড়কে ছেড়ে মূল ফটকে অবস্থান নেন। এরমধ্যে বেশ কয়েকজন ডিইপিজেড চত্বরে গিয়ে সকলকে ভেতরে ঢুকতে বলার পর সকলে ভেতরে চলে যান। পরে সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশের সদস্যরা তাদের বুঝিয়ে পুনরায় মূল ফটকের সামনে নিয়ে আসেন। বিকেল সাড়ে চারটা (এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) বিক্ষোভকারীরা মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাকুরি প্রত্যাশী এক ব্যক্তি বলেন, আমরা এখানে মারামারি হানাহানি করতে আসি নাই। আমাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে আসছি। আমরা বারবারই চাকুরির জন্য আসি। মেয়েদের নেয় আমাদের নেয় না। ১৮ থেকে ৪৫ বছরের সকলকে যোগ্যতা অনুসারে চাকুরি দিতে হবে। দরকার হলে আমাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে চাকরি দেওয়া হোক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাকুরি প্রত্যাশী এক নারী বলেন, আমরা চাই নারী পুরুষ সবাইকে কাজের সুযোগ দেওয়া হোক। ছেলে-মেয়ের সমান সমান চাকুরি দেওয়া হোক আমরা এটাই চাই। ছেলেদের তো একদমই নেয় না। মেয়েদেরকে মারধরও করা হয়।
শিল্প পুলিশ-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সুব্রত কুমার সাহা বলেন, চাকরি প্রত্যাশীরা জড়ো হয়ে চাকরির দাবি জানান। আমরা তাদের বুঝিয়েছি নিয়মতান্ত্রিকভাবে আবেদন করার। একপর্যায়ে তারা ভেতরে ঢুকে কারখানায় সিভি দিয়ে কারখানার মূল ফটকের সামনে চলে আসেন। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ডিইপিজেড) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।