শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৪, ০৭:১২ পিএম | আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০২৪, ০৯:০৬ পিএম
শরীয়তপুর জেলার ম্যাপ। ফাইল ছবি
দীর্ঘদিন ধরে শরীয়তপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ আটং গ্রামে আটং ফোরকানিয়া মাদ্রাসার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে মাদ্রাসার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় আব্দুল মালেক বেপারী নামে এক ব্যক্তি তার দানকৃত প্রায় সাড়ে ৪০ শতক জমি এবং ফসল দিতে চান না কমিটিতে।
তবে ওই কমিটি জোর করে জমি নেয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ করেছেন আব্দুল মালেক বেপারী ও তার ছেলেরা। এ ঘটনায় আটং এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করতে দেখা গেছে। তবে সরেজমিনে গিয়ে আটং ফোরকানিয়া মাদ্রাসা নামে কোনও প্রতিষ্ঠান চালু পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগী আব্দুল মালেক বেপারী ও তার ছেলে আমির হোসেন বেপারী জানান, ১৯৭৬ সালে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে মালেক বেপারীর প্রায় ৪০ শতাংশ জমির ফসল স্থানীয় আটং ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। আর একটি চুক্তি হয় যে, যতদিন এই মাদ্রাসা থাকবে ততদিন এই জমির ফসল মাদ্রাসা পাবে।
তবে, জমির আনুষঙ্গিক খরচ মালেক বেপারীই বহন করবে এবং মাদ্রাসা না থাকলে পুনরায় ফসল ও জমি তার কাছে ফেরত যাবে। কিন্তু এর কয়েক বছর পরেই মাদ্রাসার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে মালেক বেপারী জমি ও ফসল ফিরিয়ে নিতে চাইলে উক্ত মাদ্রাসা কমিটি ফসল ও জমি ফিরিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
এ ঘটনায় ওই এলাকায় দুই পক্ষের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আব্দুল মালেক বেপারী বলেন, মাদ্রাসা যখন ছিলো আমরা তখন চুক্তি অনুযায়ী জমির ফসল দিয়েছি। চুক্তি অনুযায়ী মাদ্রাসার যেহেতু কার্যক্রম নাই, তাই আমি জমির ফেরত চেয়ে আদালতে মামলা করি। মামলায় আমি ডিক্রী পাই। তাই আমার জমি ও ফসল দিবো না। জনৈক আমির হোসেন কোটারী একটি কমিটি করে এখন শুধু জমির ফসলই নয়, বরং সম্পূর্ণ জমি তারা নিয়ে যেতে চায়। এ ব্যাপারে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যায় বিচার কামনা করছি।
অন্যদিকে, মাদ্রাসার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন কোটারী বলেন, তারা (মালেক বেপারী) যদি আইনে জমি পায়, তারা নিবে। আর মাদ্রাসা যদি পায় তাহলে জমি মাদ্রাসা নিবে।