লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১২:২৫ পিএম
লালমনিরহাটের চার সংসদ সদস্য।
সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও লালমনিরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদ, লালমনিরহাট-১ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন, লালমনিরহাট-৩ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান এবং লালমনিরহাটের সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি সফুরা বেগম রুমীসহ চার সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এরমধ্যে এমপিরাসহ ৩৭ জনের নামে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় ওই হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও এই মামলায় অজ্ঞাত আরো ২০০/৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল ২৭ আগস্ট সন্ধ্যায় কোটা বিরোধী আন্দোলনের মিছিলে অংশ নেওয়া নিহত মিরাজুল ইসলামের বাবা মামলার বাদী আব্দুস সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ২৫ আগস্ট ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় ওই হত্যা মামলাটি দায়ের করেন তিনি।
মামলায় বিবাদীরা হলেন, ওই চার এমপি এছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন মোফা, হাবিবুর রহমান হাবিব, গোলাম ফারুক বসুনিয়া, অ্যাডভোকেট সরিফুল ইসলাম রাজু, অ্যাডভোকেট রকিবুল ইসলাম খান রকু, কাজি নজরুল ইসলাম তপন, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর এপিএস ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, আমিনুল খান, যুগ্ম সম্পাদক সাখওয়াত হোসেন সুমন খান, তহমিদুল ইসলাম বিপ্লব, আব্দুস সোহরাব হোসেন, মো. মনসুর আলী, সিরাজুল ইসলাম খন্দকার রানা, সুমন সওদাগর, সবুজ মিয়া, সরওয়ার আলম, সুমন সওয়াদাগর, আতিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, সাজু মিয়া, রুবেল মিয়া, মো. লাকু, পিন্টু মিয়া, শেফাউল, সজীব, গোলাম মোস্তাফা স্বপন, আহসান হাবীব লাভলু, মিলন হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক সুমন, রফিকুল আলম, সাজেদা রহমান সাজু, সালেকুজ্জামান চয়ন, শাওনসহ অজ্ঞাত আরো ২০০/৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করে লালমনিরহাটের আদিতমারী মহিষখোচা গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে মিরাজুল ইসলাম তার বন্ধুরাসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলনে নেমে পড়ে। পরে লালমনিরহাটের চার সংসদ সদস্যসহ বাকি আসামিরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমন করতে দেশীয় অস্ত্র ও পিস্তল নিয়ে ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে হামলা চালায়। পরে শিক্ষার্থী মিরাজুল ইসলাম বাড়ি থেকে ঢাকায় গিয়ে আন্দোলনে যোগ দেন। সেখানে মিরাজুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হলে তাকে উদ্ধার করে ডেল্টা মেডিকেলে ভর্তি করান।চিকিৎসকের অভাবে অপারেশন না হওয়ায় তাকে পরে রংপুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী মিরাজুল ইসলামের বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে ওই ৪ এমপিসহ ৩৭ জনকে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ২০০/৩০০ জনের বিরুদ্ধে রবিবার রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ৩৭ জনের নামে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে চারজন স্থানীয় সংসদ সদস্য রয়েছেন।