নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৫৮ এএম | আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৫৯ এএম
ছবি: সোহেল তাজের ফেসবুক থেকে নেয়া
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম শীর্ষনেতা তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজকে গোপনে নজরদারিতে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন। গতকাল বুধবার (২৮ আগস্ট) রাতে এ অভিযোগ করে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পোস্ট দেন তিনি।
সোহেল তাজ অভিযোগ করেন, এক ব্যক্তি সংসদ ভবন এলাকা থেকে তাকে অনুসরণ করে ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত চলে আসেন। এরপর সোহেল তাজকে গাড়ি থামাতে বাধ্য করেন। কিছুক্ষণ পর আবার রহস্যজনকভাবে চলেও যান।
এ ঘটনায় সোহেল তাজ বেশ ক্ষুব্ধ ও আতঙ্কিত। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সেনাবাহিনীর প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
সোহেল তাজ তার ফেসবুকে লেখেন-
দৃষ্টি আকর্ষণ: প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা,সেনাবাহিনীর প্রধান
আজকে রাতে কাজ থেকে ফেরার সময় একটি খুবই আতঙ্কজনক ও রহস্যজনক ঘটনার শিকার হই। একজন মোটরসাইকেল আরোহী আমাকে সংসদ ভবন থেকে ফলো করে ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে চলে আসে এবং একটা সময় তার বুকে লাল-নীল বাতি জ্বালিয়ে আমাকে থামতে বলে। আমি থামার পর তার পরিচয় জানতে চাই এবং আমাকে কেন থামতে বললেন তা তাকে জিজ্ঞেস করি। প্রতিউত্তরে সে আমাকে বলে যে তাদের লোক আসছে আর আমার তাদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমি আবার তার পরিচয় জানতে চেলাম এবং তাকে জিজ্ঞেস করলাম তিনি কি আমাকে চিনতে পেরেছেন কিনা। জবাবে সে আমাকে বললো আমি আপনাকে চিনি- আপনি সোহেল তাজ। তারপর সে মোবাইল ফোনে বললো যে সে আমাকে থামিয়েছে এবং লোকেশন জানিয়ে আসতে বললো। আমি আবার তার পরিচয় জানতে চেলাম এবং কারা আসছে আর কেন আমাকে থামিয়েছে জানতে চাইলাম। সে কোন উত্তর না দিয়ে আবার ফোনে কথা বললো তারপর আমাকে বললো চলে যেতে আর সেও মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে চলে গেল।
তার কথা বলার ধরণ এবং আচরণে আমি একেবারে কনফিডেন্ট সে কোন গোয়েন্দা সংস্থার লোক। এই ভাবে মানুষকে যাতে হয়রানি না করা হয় সেটাই ছিল আমাদের সকলের প্রত্যাশা- এখন দেখা যাচ্ছে একই কায়দায় সব চলছে- ছিঃ ছিঃ।
বিঃ দ্রষ্টব্যঃ এই ঘটনার তদন্ত করা প্রয়োজন এবং ক্যান্টনমেন্টের জাহাঙ্গীর গেটের প্রবেশ পথের হাই রেসুলেশন ক্লোস্ড সার্কিট ক্যামেরার (CCTV) ফুটেজ দেখলেই ধরা পরবে কে এই মোটরসাইকেল আরোহী- সময় রাত ১০:৫০ মিনিট থেকে ১১:০০- আমার গাড়ি এই সময়ের মধ্যে প্রবেশ করে এবং পেছনেই এই মোটরসাইকেল আরোহী ছিল।