নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৪, ০৭:০৭ পিএম
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে দেশে গুম প্রতিরোধে বিএনপি আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুযায়ী আইন করবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আজ শুক্রবার (৩০ আগস্ট) আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এ কথা জানান তিনি।
বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমার দলের পক্ষ থেকে আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে দেশে আর কোনো ব্যক্তি যেন গুম না হয়, সেটি নিশ্চিতে আমরা জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত গুম প্রতিরোধ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশন (আইসিপিপিইডি) অনুসারে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করবো ইনশাল্লাহ। মানবতার বিরুদ্ধে এই গুরুতর অপরাধের ন্যায়বিচার হতেই হবে।
তিনি বলেন, গুম মানবতাবিরোধী অপরাধ, যা মৌলিক মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। বাংলাদেশে নজিরবিহীন গুমের ঘটনায় লাখ লাখ দেশবাসীর মতো আমিও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে এটি প্রয়োগ করা হয়।
সমাজে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির জন্য শেখ হাসিনার শাসনামলে গুমকে ব্যবহার করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্ভরযোগ্য মানবাধিকার সংস্থাগুলো একযোগে প্রকাশ করেছে যে, ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সাত শতাধিক মানুষকে বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো গুম করেছে। এটি অত্যন্ত পীড়াদায়ক। আজ পর্যন্ত একটি ঘটনারও ন্যায়বিচার পাওয়া যায়নি।
তারেক রহমান বলেন, নিখোঁজ এসব মানুষ তাদের পরিবারের প্রাণপ্রিয় সদস্য ছিলেন। তাদের স্বপ্ন, ভালোবাসা ও সুন্দর ভবিষ্যৎ ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। অদৃশ্য মানুষগুলো কোথায় আছে আমরা জানি না, তবে রেখে গিয়েছে মর্মান্তিক ও বেদনাবিধুর বাংলাদেশ, যেখানে আমাদের অর্জিত মানবাধিকার ও মূল্যবোধ লুণ্ঠিত হয়েছে।
বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গুম আন্তর্জাতিক অপরাধ হিসেবে স্বীকৃত। আইসিসি’র রোম সনদের ৭ (২) অনুচ্ছেদে গুমকে মানবতার বিরুদ্ধে একটি অপরাধ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মানবাধিকারের এই লঙ্ঘনের জন্য ন্যায়বিচারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর আরোপ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা রাজনৈতিক দর্শন, জাতি, ভাষা, নৃগোষ্ঠী, সংস্কৃতি, বর্ণ ইত্যাদিসহ রাষ্ট্রীয় সীমানাকে অতিক্রম করে গুম হওয়া মানুষগুলোর স্মরণে এবং সেই সঙ্গে তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর জন্য দিবসটি পালন করি। আমি এই মনুষ্যত্বহীন অপরাধে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে, ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার জন্য পৃথিবীজুড়ে ঐক্য ও সংহতির আহ্বান জানাই।