বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৯ পিএম
ভুক্তভোগী কামরুল ইসলাম হিরন, হারুন আকবর ও নেহার বেগমের সংবাদ সম্মেলন।
বরিশালে জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের বিরুদ্ধে। দখল করতে না পেরে সেই জমির ওয়ারিশদের নামে বিভিন্ন সময় মামলা দিয়ে হয়রানি করেন তিনি। এমনকি জমি দখল করতে পুলিশ দিয়ে প্রতিপক্ষকে অস্ত্র-ডাকাতি এবং মাদক মামলায় ফাসারোর অভিযোগ নানকের বিরুদ্ধে।
আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কামরুল ইসলাম হিরন, হারুন আকবর ও নেহার বেগম।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগীদের পক্ষে কামরুল ইসলাম হিরন জানান, বরিশাল নগরীর নিউ সার্কুলার রোডের মুহুরি বাড়ির মৃত জুলমত আলীর ওয়ারিশদের ১৩৯ শতাংশ জমি দখলের জন্য চেষ্টা চালিয়েছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক ও তার ভাই নাসির আহমেদ লিটু। নানকের বাবা বজলুর রহমান সেরনিয়াবাত ছিলেন বরিশাল কালেক্টরেট অফিসের কেরানি। সেই সুবাদে জুলমত আলীর জমির কাগজপত্র জালিয়াতি এবং ভুয়া ডিক্রি করেন তিনি। এর পর থেকে শুরু হয় জমি দখলের পাঁয়তারা। বজলুর রহমান সেরনিয়াবাতের মৃত্যুর পর জবর দখল কার্যক্রম শুরু করেন নানক ও তার ভাই লিটু। জমি নিয়ে দুই পক্ষের একাধিক মামলা দায়ের হলেও নানকের ক্ষমতার প্রভাবে তাদের সাথে আমরা পেরে উঠিনি।
তিনি ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দাদা ও বাবা-চাচারা সকলে মিলে নিজেদের ওই মালিকানা জমিতে বসবাস করে আসছি। এই জমিতে রয়েছে আমাদের বাবা-চাচা সকলের গোরস্থানসহ একাধিক বসতঘর ও পুকুর। অথচ জমির ওয়ারিশ আ. বারেক হাওলাদারের মৃত্যুর পর তাকে নিজেদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করতে দেননি ক্ষমতাধর নানক ও তার পরিবার।
তিনি অভিযোগ করেন, নানক ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে পুলিশ দিয়ে বাদী বানিয়ে ডাকাতি ও অস্ত্র মামলায় পরিকল্পিতভাবে আমাদের আসামি করেছিল। আর আমরা জমি নিয়ে যেসব মামলা করেছিলাম সেগুলো নিজের প্রভাব খাটিয়ে খারিজ করান জাহাঙ্গীর কবির নানক। ফলে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি আমরা।
সংবাদ সম্মেলনে মৃত জুলমত আলীর ওয়ারিশরা তাদের জমির মামলা অবসানের পাশাপাশি হয়রানির বিচার দাবি জানিয়ে ৮টি বিষয় তুলে ধরেন।
তবে আত্মগোপনে থাকায় অভিযোগের বিষয়ে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের বক্তব্য জানা যায়নি।