নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৬ পিএম | আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১১ পিএম
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনে গণভবনে উল্লসিত জনতা। ছবি: সংগৃহীত
জনতার প্রতিশোধ ও বিচারের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ লোকজন। গুম-খুনে জড়িত স্বৈরাচার হাসিনার ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী ও নিরাপত্তাবাহিনীর কর্মকর্তারা পলাতক রয়েছেন। খবর: চায়না মর্নিং পোস্ট।
চীনা গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে গুম-খুন, নিপীড়নকারীদের ওপর জনগণ তীব্র ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে এবং দোষীদের সর্বোচ্চ বিচার চাচ্ছে। তবে, গণহত্যায় হাসিনার সহযোগী দোষী হাজারও নেতাকর্মী এবং পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তারা আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে গেছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়ছে, দোষীদের অনেকে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরসহ কয়েকটি দেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
চায়না মর্নিং পোস্ট প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে গত মাসে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার প্রায় তিন সপ্তাহ পর সুপ্রিম কোর্টের একজন প্রাক্তন বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তাকে অবৈধভাবে ভারতে সীমান্ত অতিক্রম করতে সাহায্য করার জন্য একটি আন্ডারগ্রাউন্ড নেটওয়ার্ককে ১৫ হাজার টাকাও দিয়েছিলেন।
তাকে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী ও সীমান্তবর্তী গ্রামবাসী আটক করে। তাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা সত্ত্বেও, তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।
গত ২৪ আগস্ট মানিককে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে ক্ষুব্ধ জনতা তার ওপর আক্রমণ করে।
বাংলাদেশে অধিকার লঙ্ঘনের নথিভুক্তকারী ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রজেক্টের মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, হাসিনা সরকার ভিন্নমতকে শাস্তি দেওয়ার জন্য বিচার বিভাগকে দমনমূলক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। মানিক সেই বিচারকদের মধ্যে ছিলেন যারা প্রতিশোধমূলক হাত হিসাবে কাজ করেছিলেন। ওই বিচারকরা বাংলাদেশে অন্যায়ের প্রতীক হয়েছিলেন।
ইটস লাইক আ ড্রিম শীর্ষক অপর এক প্রতিবেদনে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট বলছে, বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশের অর্ধকোটি শ্রমিক স্বৈরাচার গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার পতনকে স্বপ্নের মতো মনে করছেন, নতুন করে বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা করছেন।