নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৬ পিএম | আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫০ পিএম
নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ছবি: সংগৃহীত
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে ‘সৌজন্য বিনিময়’ করবে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই সৌজন্য বিনিময়ে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের ঘোষণা আসতে পারে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
ইসি সূত্র জানায়, শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নির্বাচন কমিশনাররা ধরে নিয়েছেন, তাদেরও পদত্যাগ করতে হবে। এ জন্য তারা মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। তবে তারা নিজে থেকে পদত্যাগ করবেন, নাকি এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অন্য কোনো চিন্তা আছে, তা বোঝার চেষ্টায় ছিল ইসি। এ বিষয়ে পরামর্শের জন্য তারা রাষ্ট্রপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন; কিন্তু তাতে সফল হননি।
এমন পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়ে আসছেন সিইসি ও অন্য কমিশনাররা। নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মো. শরিফুল আলম জানান, আগামীকাল দুপুর ১২টায় নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে নির্বাচন কমিশন সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করবে। এই সৌজন্য বিনিময়ে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের ঘোষণা আসতে পারে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
২৫ আগস্ট জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময় নিয়ে কিছু বলেননি। তিনি বলেন, কখন নির্বাচন হবে, সেটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, সরকারের নয়। তবে নির্বাচন কমিশনকে সংস্কার করে যেকোনো সময় আদর্শ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রাখা হবে বলেও ভাষণে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্র জানায়, সংবিধান অনুযায়ী সংসদ ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন করার কথা বলা আছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সেটি সম্ভব নয়, তা পরিষ্কার; কিন্তু সংবিধান স্থগিত করা হয়নি বা সরকার পতনের পরে কোনো ফরমানও জারি করা হয়নি। ফলে নির্বাচন করার বিষয়ে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়ে গেছে। এই কমিশন যদি আরও এক-দুই মাস দায়িত্বে থাকে, তাহলে এ বিষয়ে ব্যাখ্যার প্রয়োজন হবে। কারণ, নির্বাচন আয়োজন করার সাংবিধানিক দায়িত্ব ইসির। আইনি ফাঁকফোকর রেখে যদি নির্বাচন পেছানো হয়, তাহলে কোনো একসময় ইসিকে সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হতে পারে।
উল্লেখ্য, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি শপথ নেয় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন। এই কমিশনের মেয়াদ পাঁচ বছর।