আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪৪ পিএম | আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪৫ পিএম
পরমাণু অস্ত্রবিরোধী জাপানের সংগঠন নিহন হিদানকায়োর লোগো।ছবি: সংগৃহীত
শান্তিতে নোবেল পেয়েছে জাপানের মানবাধিকার সংস্থা নিহন হিদানকায়ো । নোবেল পুরস্কার আসরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পুরস্কার এটি।
স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বেলা ১১টা ও বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় নরওয়ের রাজধানী অসলোর নোবেল ইনস্টিটিউট থেকে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়।
হিরোশিমা এবং নাগাসাকির পারমাণবিক বোমা থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষদের তৃণমূল পর্যায়ের আন্দোলনটি হিবাকুশা নামেও পরিচিত। পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব অর্জনের প্রচেষ্টার বিশেষ অবদান রাখার পাশাপাশি বিচারকাজে সহায়তার জন্যে এই পুরস্কার অর্জন করে সংস্থাটি।
পুরস্কারের ঘোষণা নেবেলপ্রাইজ ডট ওআরজি এবং ফেসবুক, এক্স, ইউটিউবে নোবেল পুরস্কারের অফিসিয়াল ডিজিটাল চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
অবশ্য জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য নিবেদিত জাতিসংঘের সংস্থা দ্য ইউনাইটেড নেশনস প্যালেস্টিনিয়ান রিফিউজি এজেন্সি (আনরোয়া) এবং জাতিসংঘের আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ড অব জাস্টিসকেও (আইসিজে) নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল।
মনে করা হয়েছিল এ পুরস্কারের জন্য মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে জাতিসংঘ মহাসচিব এবং আইসিজের মধ্যে।
এবার শেষ পর্যায়ে এসে এ তালিকা থেকে দুইজনকে বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন হচ্ছেন রাশিয়ার সাবেক বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনি। অপর জন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। দুজনেই শান্তিতে নোবেল পাওয়ার মনোনীতদের তালিকায় ছিলেন। অ্যালেক্সি নাভালনিকে বাতিল করার কারণ তিনি মারা গেছেন। আর জেলেনস্কি বাদ পড়েছেন এ কারণে যে তিনি একটি যুদ্ধরত দেশের প্রেসিডেন্ট।
প্রতিবছর শান্তি, সাহিত্য, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নশাস্ত্র ও অর্থনীতি—এই পাঁচ খাতে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের দেয়া বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার নোবেল। শান্তি ছাড়া বাকি চারটি খাতে পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন এবং প্রদান করে থাকে সুইডিশ রয়্যাল একাডেমি। আর শান্তিতে নোবেলের প্রার্থী মনোনয়ন ও পুরস্কার দেয় নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি।
নরওয়েজিয়ান নোবেল ইনস্টিটিউট এবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মোট ২৮৬ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের নাম নিবন্ধন করেছিল। এর মধ্যে ১৯৭ জন ব্যক্তি। আর প্রতিষ্ঠান ৮৯ টি।
গত বছর শান্তিতে নোবেল পান ইরানের কারাবন্দী মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদি। দেশটিতে নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে তার লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসেবে ওই তরুণীকে এই সম্মানে ভূষিত করা হয়।