বেনাপোল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৪৭ পিএম
শুঁটকি মাছের চালান। ছবি: বেনাপোল প্রতিনিধি
বেনাপোল বন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা বিপুল পরিমাণ শুঁটকি মাছের চালান জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। জব্দকৃত মাছের চালানটিতে প্রায় ১০ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়।
গতকাল বুধবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর বেনাপোল বন্দরের ৩১ নম্বর সেড থেকে পণ্যের চালানটি জব্দ করা হয়।
কাস্টমস সূত্রে জানায়, শামীম এন্টারপ্রাইজ নামে একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে ৫০ মেট্রিক টন ফিস মিল ঘোষণা দিয়ে পণ্যের চালানটি আমদানি করেন। চালানের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের ইনোভেটিভ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। চালানটি কাস্টমস থেকে খালাসের জন্য প্যারেন্টস ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস সেন্টার নামে এক সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট বিল অব এন্ট্রি সাবমিট করেছেন।
ভারতীয় তিনটি ট্রাকে করে গত মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতে পণ্যের চালানটি বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।
বেনাপোল কাস্টমসের পরীক্ষণ গ্রুপের রাজস্ব কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান জানান, বুধবার সন্ধ্যার পর জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে ডেপুটি কমিশনারের নির্দেশ ক্রমে ফিস মিল ঘোষণা দিয়ে আমদানি করা পণ্যের চালানটি পরীক্ষণ করা হয়েছে। পরীক্ষণ করে তিনটি গাড়িতে ৫০ মেট্রিক টন ফিস মিলের মধ্যে ঘোষণা বহির্ভূত প্রায় ৭ মেট্রিক টন শুঁটকি মাছ পাওয়া যায়। ফিস মিলের কোন শুল্ক কর দিতে হয় না। তবে শুঁটকি মাছের শুল্ককর ৫৮ শতাংশ। বেনাপোল কাস্টমস হাউসে প্রতি কেজি শুঁটকি মাছের শুল্কায়ন মূল্য ২ ডলার এবং শুল্কহার, ৫৮ শতাংশ। ঘোষণা বহির্ভূত শুঁটকি মাছের মূল্য ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। পণ্যের চালানটিতে ডিউটি ফাঁকি দেওয়া হচ্ছিল প্রায় ১০ লাখ টাকা। চালানে ঘোষণা বহির্ভূত শুঁটকি মাছ আমদানি করায় সাময়িক জব্দ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ওই সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট প্রতিনিধি তারেক বাবুল জানান, আমদানি করা পণ্যের চালানটি ফিস মিল। এখানে কোন শুঁটকি মাছ নেই। ল্যাবে পরীক্ষণ করলেই প্রমাণিত হবে এটা ফিস মিল নাকি শুঁটকি মাছ। এখানে আমার বা আমার আমদানিকারকের কোনো অপরাধ নাই। আমদানি করা পণ্যের চালানে শুল্ক ফাঁকির কোনো প্রবণতা আমাদের নেই।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, আমদানি করা ফিস মিলের ভিতরে ঘোষণা বহির্ভূত শুঁটকি মাছ পাওয়ায় পণ্যের চালানটি সাময়িক জব্দ করা হয়েছে। পণ্যের চালানে বিপুল পরিমাণে শুঁটকি মাছ পাওয়া গেছে। জব্দকৃত চালনে প্রায় ১০ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হচ্ছিল। কাস্টমস আইন অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।