বিক্ষোভের মুখে দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন প্রত্যাহার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৭ এএম

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদ সদস্যদের (এমপি) বিরোধিতার মুখে সামরিক আইন জারির আদেশ প্রত্যাহারের ঘোষাণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। এ বিষয়ে পার্লামেন্টে ভোটের পর তিনি জানান, সামরিক আইনের অবসান ঘটাতে পার্লামেন্টের সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নেবেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এ আইন প্রত্যাহার করা হবে। 

গতকাল মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) আকস্মিক এ আইন জারির পর পার্লামেন্টে ৩০০ সদস্যের মধ্যে ১৯০ জন বিপক্ষে ভোট দেন।

প্রেসিডেন্ট ইউন সুক–ইওল বলেন, পার্লামেন্টের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি সামরিক আইন প্রত্যাহারের কথা সামরিক বাহিনীকে জানিয়েছি। পার্লামেন্টের প্রস্তাব গ্রহণ ও সামরিক আইন প্রত্যাহার করে এগিয়ে যাওয়ার জন্য মন্ত্রিসভা বৈঠক করছে। বৈঠকের পর সামরিক আইন তুলে নেয়া হবে।

এর আগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মধ্যরাতে কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই দেশে সামরিক আইন জারি করেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। তিনি বলেন, দেশের মুক্ত ও সাংবিধানিক শৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া ছাড়া তার আর কোনো উপায় ছিল না। তিনি অভিযোগ করেন যে বিরোধী দলগুলো সংসদীয় প্রক্রিয়াকে জিম্মি করে দেশকে সংকটে ফেলে দিয়েছে।

তিনি বলেন, আমি উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট বাহিনীর হুমকি থেকে মুক্ত কোরিয়ান প্রজাতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য, আমাদের জনগণের স্বাধীনতা ও সুখ লুটে নেয়া নিকৃষ্ট উত্তর কোরিয়াপন্থী রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিগুলো নির্মূল করার জন্য এবং মুক্ত সাংবিধানিক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সামরিক আইন জারি করছি।

তবে হঠাৎ সামরিক শাসন জারির আদেশ মেনে নেননি দক্ষিণ কোরিয়ার এমপিরা। সামরিক আইন জারির পর দেশটির পার্লামেন্ট ঘিরে উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পার্লামেন্টের বাইরে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারের দাবিতে তাদের স্লোগান দিতে শোনা যায়। একপর্যায়ে কিছু সময়ের জন্য পার্লামেন্ট ভবনে সেনাবাহিনীও প্রবেশ করে।


সূত্র: রয়টার্স

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh