লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৬ পিএম
ঘন কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। ছবি: লালমনিরহাট প্রতিনিধি
হাড় কাঁপানো শীত ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হিমালয়ের পাদদেশে সীমান্ত জেলা লালমনিরহাটের জনজীবন। জেলার খেটে খাওয়া মানুষগুলো পড়েছে বিপাকে। শীতে বেশি কষ্ট পাচ্ছে বয়োবৃদ্ধ ও শিশুরা। দেখা দিয়েছে শীতজনিত রোগ। ঘন কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন।
আজ শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা পর্যন্ত জেলার ৫ উপজেলায় ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা মেলেনি। বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন মানুষজন। মহাসড়কের যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ৯টায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গত ১০ দিনের তুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগেরদিন শুক্রবার ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
রিকশাচালক হামিদুর রহমান জানান, কয়েকদিন ধরে প্রচুর কুয়াশা পড়ছে। বৃষ্টির মতো কুয়াশা। কাছাকাছি কোনো কিছু দেখা যাচ্ছে না। রিকশা চালানো যাচ্ছে না। শীতে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসে। কাজে যেতে হচ্ছে পরিবারের জন্য। যাত্রীও পাওয়া যাচ্ছে না।
কৃষক বজলার রহমান জানান, যতই ঠান্ডা হোক তবুও আমাদেরকে তো ক্ষেতে কাজ করতেই হয়।
শ্রমিক বাহাদুর মিয়া বলেন, শীতেও সাড়ে সাতটার মধ্যে কাজে যেতে হয়। ঘন কুয়াশার জন্য কাজে যেতে খুব কষ্ট হয়।
রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, লালমনিরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিনের মধ্যে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে বলেও তিনি জানান।