বিনোদন রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২০ পিএম
‘সবুজ গ্রাম পাথরের শহর’ নাটকের মহরত। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকালের
একঝাক তারকা নিয়ে শুটিং শুরু হলো বৈশাখী টিভির ইনহাউজ দীর্ঘ ধারাবাহিক ‘সবুজ গ্রাম পাথরের শহর’ নাটকের। এ উপলক্ষে ঢাকার অদূরে পুবাইল বাদশা মিয়ার বাড়ি শুটিং হাউজে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। নাটকের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় কেক কাটার মাধ্যমে।
বৈশাখী টিভির ডেপুটি হেব প্রোগ্রাম লিটু সোলায়মান ছাড়াও সেখানে
উপস্থিত ছিলেন নাটকের বেশ কয়েকজন অভিনেতা-অভিনেত্রী। এদের মধ্যে কিংবদন্তী অভিনেত্রী দিলারা জামান, শ্যামল
মাওলা, শরাব আহমেদ জীবন, মায়মুনা মম, একে আজাদ সেতু, সূচনা শিকদার,শ্যামন্তি সৌমি,
শারমিন ইমু সাথী,তানিয়া লিজা অন্যতম।
সাংবাদিকদের সামনে
নাটকের সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন চিত্রনাট্যকার ইউসুফ আলী খোকন ও পরিচালক রোমান রুনি।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বৈশাখী টিভির মিডিয়া মুখপাত্র দুলাল খান।
বৈশাখী টিভির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু
আলম মিলনের গল্পে,ইউসুফ আলী খোকনের চিত্রনাট্যে ‘সবুজ গ্রাম পাথরের শহর’ নাটকের সার্বিক
ব্যবস্থাপনায় আছেন বৈশাখী টিভির ডেপুটি হেব প্রোগ্রাম লিটু সোলায়মান। প্রযোজনা বৈশাখী
টেলিভিশন,অনুষ্ঠান বিভাগ।
নাটকের অভিনয় শিল্পীরা হলেন, দিলারা জামান,সালাউদ্দিন লাভলু,আশীষ খন্দকার,মাহমুদুল ইসলাম মিঠু (বড়দা মিঠু),শরাফ আহমেদ জীবন,শ্যামল মাওলা,মায়মুনা মম,শামিম আহমেদ মনা,শ্যামন্তি সৌমি,শতাব্দী ওয়াদুদ,একে আজাদ সেতু,শারমিন ইমু সাথি,শবনম পারভীন,সূচনা শিকদার,রেশমা আহমেদ,নুর এ আলম নয়ন,জুনেদ আতিক,তানিয়া লিজা,দাউদ নূর,শহীদ চিশতী,আজরা জেবিন তুলি,অমিতাভ রাজীব,নিয়ামূল করিম,শিখা কর্মকার,জাফর মাহফুজ,তুহিন খান,মো. রফিকসহ আরো অনেকেই।
লাভলু ও শরাফ আহমেদ জীবন
গল্পকার টিপু আলম মিলন বলেন, সবুজ গ্রাম পাথরের শহর নাটক
মূলত সমাজ সচেতনতার এক আখ্যান। একটা সময় গ্রামের মানুষগুলো প্রকৃতির মতই সহজ সরল ছিলো,
অন্যদিকে শহরের মানুষগুলোও তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে দিন দিন নিজেদের আবেগ অনুভূতির
জায়গাটা হারিয়ে ফেলেছে। কিন্তু বর্তমানে শহরের সভ্যতায় গ্রামকে সাজাতে গিয়ে বিলিন হয়ে
যাচ্ছে সহজ সরল মানুষগুলোর সহজ সরল জীবন-যাপনের সবকিছু। যে কারণে, গ্রামের সহজ সরল
মানুষের আনন্দ-বেদনার কাব্য যেমন ফুটে উঠেছে এ নাটকে তেমনি চিত্রায়িত হয়েছে ইট পাথরে
গড়ে ওঠা মানুষের
বাস্তব চিত্র। যাদের হৃদয় যেন আজ পাথরের মতোই শক্ত। গ্রামে-গঞ্জ-শহরে
একই চিত্র। নানা ঘাত-প্রতিঘাত,অসংগতি আর বৈষম্য সমাজ তথা রাষ্ট্র উন্নয়নে দারুণ অন্তরায়।
সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই এ নাটকের কিছু মানুষ এগিয়ে আসে। কেউ সফল হয় কেউ হয় না। কিন্তু
তাদের সংগ্রাম থেমে থাকে না, নিয়ত এগিয়ে চলে সামনের দিকে। বরাবরের মতো আমার এ গল্পের
নাটকটিও দর্শকদের ভালো লাগবে বলে আমি বিশ্বাস করি।