ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৬ পিএম
লেখক আড্ডা। ছবি- ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে গোলকনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গোলাম রসুল স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো শিশু-কিশোর ও লেখক আড্ডা। এ ছাড়াও ছিল বই ও পত্রপত্রিকা প্রদর্শনী।
ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার গোলকনগর গ্রামে অবস্থিত গোলাম রসুল স্মৃতি পাঠাগার আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা গোলকনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে বইপড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা জাতি গঠনে শিক্ষার মূল্য সংস্কৃতি ও পাঠাগারের ভূমিকা নিয়ে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন।
শিক্ষার্থীরাও তাদের জানা-অজানা বিষয়গুলোতে অংশ নেন। এরপর লেখক আড্ডায় আমন্ত্রিত কবি- লেখক নিজেদের কবি পাঠ লেখালেখির যাপনকথা শ্রোতাদের সামনে তুলে ধরতে গিয়ে লেখকসত্তা হতে হবে সর্বজনীন-এই বিষয়টিতে গুরুত্ব দেন। তারা বলেন, লেখক হবে রাষ্ট্রের, কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়। তার কলম কথা বলবে দেশ-সেবক হিসেবে, শোষণের বিরুদ্ধ এবং মানবতার স্বপক্ষে। এই সার্বজনীনতা রবীন্দ্রনাথের মধ্যে ছিল বলেই তিনি বিশ্বকবি হয়ে উঠতে পেরেছিলেন। আমাদের মরমী কবিরা সেই পথের অনুসারী। আর তাই বক্তাদের কথায় লালন শাহ ঠাঁই নেন মাতৃ ঐতিহ্যের শেকড়ে দেশ ও মানবতার স্মারকচিহ্ন রূপে।
সবশেষে গোলাম রসুল স্মৃতি পাঠাগার ও লালনের আখড়া হিসাবে পরিচিত চর-চড়িয়া পরিদর্শনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে। অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রশিদুজ্জামান, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক শামীম রেজা, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. এরশাদুল হক, কবি ও গীতিকার ননী গোপাল বিশ্বাস, কবি সামসুজ্জামান লাভলু, কবি হাসানুজ্জামান, কবি বায়োজিদ চাষা, কবি সজল রায়, কবি মো. আবুল হাসনাত হাবিবুল্লাহ, বাচিকশিল্পী মাজেদ রজমান, গোলকনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোকাদ্দেস হোসেনসহ অন্যরা।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন গোলাম রসুল স্মৃতি পাঠাগারের কর্ণধার এবং কবি ও লোকগবেষক বঙ্গ রাখাল।